
বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও গোপালগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী ৮ জেলার ২০ উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি করে, ভোটের জন্য নয়। ভোট দেয়া-না দেয়া জনগণের অধিকার। মানুষের সেবা করাটাই আমাদের কাজ। ক্ষমতা আমাদের কাছে কোন ভোগ বিলাসের বস্তু নয়। ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্ব পালন।
কাজেই এ দায়িত্বটাই পালন করতে চাই। জাতির পিতা সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। আমি সব সময় এটা মনে রাখি, আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই জনগণের সেবা করাটাই হচ্ছে আমার প্রথম কর্তব্য।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জনসেবা করব, জনগণকে একটু সুখ শান্তি দেব, তাদের রোগে চিকিৎসা দেব, তাদের একটু উন্নত জীবন দেব, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করব-এটাত রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমাদের অঙ্গীকার। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি, ক্ষমতায় আসল বিএনপি-জামায়াত জোট।
কি অদ্ভুত চরিত্র বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালের পর ক্ষমতায় এসেই এই হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু এই একটা অজুহাতে যে এই ক্লিনিকে যারা কাজ করবে এবং যারা স্বাস্থ্যসেবা পাবে, তারা সব নৌকায় ভোট দেবে। তাই তারা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি মানুষের মৌলিক অধিকার। এ জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে প্রতি গ্রামে অন্তত ১০ শয্যার একটি করে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই স্বাস্থ্যসেবা আধুনিকায়নের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই কমিউনিটি ভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর আওতায় হতদরিদ্র রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার জন্য ২০ কোটি টাকার একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠনেরও ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এই টাকা থেকে যে লাভ আসবে তা দিয়ে সারাদেশের দরিদ্র জনগণের চোখের চিকিৎসা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের চোখে ছানি পড়া, গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক চক্ষু রোগী, রেটিনোপ্যাথি, কিশোর চক্ষুরোগ, চোখের আঘাতসহ অন্যান্য চক্ষু রোগ শনাক্ত করা এবং এর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়া হবে এসব সেন্টারে।
এরপর আরও উন্নত সেবার জন্য তারা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চক্ষু রোগে আক্রান্তদের সচেতনতা ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ঘরের দোরগোড়ায় গড়ে ওঠা কমিউনিটি হাসপাতালগুলোতে মানুষ তাঁদের প্রাপ্য স্বাস্থ্যসেবা পাবে, এমনটাই আশা সাধারন জনগনের। এই সেবা নিশ্চিত করা কর্তব্যরত এবং সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্ব।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply