
কামরান আহমেদ রাজীব, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ আজ বিশ্ব মা দিবস। পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর একমাত্র নাম মা। স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসার স্থান হলো মা। মা সবসময় সন্তানের বিপদে, কষ্টে, হাজারো যন্ত্রণায় একমাত্র ভরসাস্থল। সন্তানের কাছে মার চেয়ে আপন ও প্রিয় আর কিছু নেই। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস পালন করা হয়। মা, মাতৃত্ব, মাতৃত্বের বন্ধন এবং পরিবার ও সমাজে মায়ের অবদানের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই মা দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে আজ সর্বত্রই ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে থেকে শুরু হয়ে গেছে মা দিবসকে নিয়ে নানা ধরনের স্টেটাস। অনেকেই বলছেন, শুধু এক দিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, মাকে সম্মান করতে হবে প্রতিদিন। মাকে যথাযথ মূল্য দিতে হবে। মা দিবস শুধু একটি দিনের মধ্যে আটকে নেই। সুসন্তান প্রতিদিনই মা দিবস পালন করে থাকে। ঘর থেকে বের হতে গেলেই মায়ের দোয়া নিয়ে বের হয়।
যেখানেই সে থাকুক মায়ের খোঁজখবর নেয়। তার সফলতার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা ও মায়ের দোয়া কামনা করে। ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে আন্তর্জাতিক মা দিবস ঘোষণা করেন। পরে ১৯৬২ সালে দিবসটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এরপর থেকে দিবসটি আন্তর্জাতিক পরিসরে পালন হচ্ছে। মার্কিন সমাজকর্মী অ্যান রেভেস জার্ভিসের দশম সন্তান আনা জার্ভিস নিজে কোনো দিন মা হতে না পারলেও দিনটি তার কাছে ছিল অন্যরকম।
অ্যান রেভেস অসুস্থ হলে আনা সেবাযত্ন করেন নিবিড়ভাবে। তার মায়ের মৃত্যুর তিন বছর পরে ১৯০৮ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার ভার্জিনিয়াতে এক স্মরণসভার আয়োজন করেন আনা। তারই উদ্যোগে একই বছরে মার্কিন কংগ্রেসে দিবসটিকে মা দিবসের মর্যাদা দিয়ে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করার প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রথমে প্রত্যাখ্যাত হলেও পরে প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন এ দিনকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন। মায়ের মতো তো আপন কেউ নেই। তাইতো মায়ের বন্দনা সর্বত্র। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিরা মায়ের নানা গুণ বর্ণনা করে কবিতা লিখেছেন। গীতিকাররা গানে ফুটিয়ে তুলেছেন মাকে। আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ সা: মাকে সম্মান দিয়েছেন সবার উপরে। কাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করব এক সাহাবির এ প্রশ্নের জবাবে নবী করিম সা: তিনবারই মায়ের কথা বলেছেন। চতুর্থবার তিনি বাবার কথা বলেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply