
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এরপর ওই বক্তব্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নজরে আসে কুষ্টিয়ার জেলা ছাত্রলীগের। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মানহানি মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়ের করা এই মানহানি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।
আজ রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক এম এম মোর্শেদ ১০ হাজার টাকা জামানতে স্থায়ীভাবে তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় মাহবুবুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন।
এদিকে, আদালতে হাজির ও মিন মঞ্জুরের আগে ছাত্রলীগ নেতারা আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা মাহমুদুর রহমানের বিচার চেয়ে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মতের ভিন্নতা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। একজনের কাছে যেটা ঠিক, সেটি অন্যজনের ভুলও মনে হতে পারে। তবে এর জের ধরে কটূক্তি করা, কিংবা অন্যের নামে বাজে কথা ছড়ানো কখনোই কোনো সুনাগরিকের কাজ হতে পারে না।
সেই ব্যক্তি যখন হন দেশের একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, তখন দেশের সকল পত্রিকাগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতেই পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply