
ব্রিজের নিচে পড়ে ছিলো সুদৃশ্য ট্রলি ব্যাগটি। উৎসুক জনতা ব্যাগটি খুলতেই তাদের চোখ ছানাবড়া। ব্যাগের ভেতর সাজানো টুকরো টুকরো কাটা মাংস, কাটা উরু, ছিন্নভিন্ন দুটি পা। তখনই পুলিশকে স্থানীয়রা জানায়। পুলিশের তল্লাশিতে পাওয়া যায় খণ্ডিত আরো একটি হাত।
পুলিশের তল্লাশিতে আরো পাওয়া যায় পাশের ভুট্টাক্ষেতের ভেতর থেকে সোনার আংটি, নেভি ব্লু রংয়ের জিন্সের প্যান্ট-গেঞ্জি। কিন্তু খণ্ডিত হাত, পা উদ্ধারের পর চার দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হদিস মেলেনি হতভাগ্য ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির। এমনকি তার মূল শরীরটি পাওয়া যায়নি। উরুসহ দুই পা ও একটি হাত কেটে নেওয়া ওই ব্যক্তি বেঁচে আছে না কি মারা গেছে সে প্রশ্নের কোনো কিনারা করতে পারেনি থানা পুলিশ।
তবে পুলিশের দাবি, তারা ঘটনার রহস্য উন্মোচনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পত্রিকার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে জানিয়ে দেওয়া যে, উদ্ধারকৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কারো পরিচিত জনের সঙ্গে মিলে গেলে ঘিওর থানায় যেন দ্রুত যোগাযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ ঘিওর কালিগঙ্গা নদীর ব্রিজের নিচ থেকে গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে খণ্ডিত হাত, পা উদ্ধার করা হয়।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দেহের অংশগুলো পুরুষ লোকের। রাতের আধারে কে বা কারা ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে চলে গেছে।
তিনি আরোও জানান, দেহের অংশবিশেষগুলো ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শনাক্ত করে আইনগত ব্যববস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply