
খালেদা জিয়ার কারাবাস নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি থামছেই না। বিএনপি ও আওয়ামীলীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে আসছে এই নিয়ে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা কামরুল ইসলামের সর্বশেষ মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরেকটু ঘোলাটে করেছে।
বিএনপি তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘বেশি দিন’ কারাগারে রাখতে এবং দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন। দুদকের আইনজীবীকে সময়মত আপিল ও জামিন আবেদনের কপি সরবরাহ করা হলে বৃহস্পতিবারই খালেদা জিয়ার জামিন হয়ে যেত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের এমন মন্তব্য আসে। তিনি বলেন, “আজকে খালেদা জিয়া কারাগারে, আমার নেত্রী যদি কারাগারে থাকত, তবে যত দ্রুত সম্ভব তার মুক্তি কামনা করতাম, দ্রুত মামলা লড়তাম। কিন্তু বিএনপি নেতৃবৃন্দ অহেতুক, যাতে করে বেশি দিন বিএনপি নেত্রী কারাগারে থাকে, সেই ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে।”
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। বিএনপি নেত্রীর আইনজীবীরা সত্যায়িত কপি পাওয়ার পর আপিল করলে বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে। তবে দুদকের আবেদনে খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আদেশ পিছিয়ে দিয়ে রবিবার আবার শুনানির দিন রাখে আদালত। বিএনপির নেতারা অভিযোগ করে আসছিলেন, খালেদা জিয়াকে বেশি দিন বন্দি রাখতে রায়ের অনুলিপি দিতে দেরি করা হয়েছে।
সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল বলেন, “দেশটাকে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার একটা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বিএনপি, গভীর ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।” তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচার বহু আগেই শেষ করা যেত। কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা ‘পরিকল্পিতভাবে’ মামলাটি বিলম্বিত করেছে, যাতে নির্বাচনের বছরে ‘বিশৃঙ্খল পরিবেশ’ সৃষ্টি করা যায়।
“রায়ের কপির জন্য যথামসয়ে দরখাস্ত দেয়নি, পিটিশনের জন্য যথাসময়ে দরখাস্ত দেয়নি, গতকাল মামলার আপিল শুনানি (গ্রহণযোগ্যতা) হয়েছে, সেখানেও জামিনের জন্য দুদকের কাগজপত্র যথা সময়ে দেয়নি। “গতকাল হয়ত বেগম খালেদা জিয়া জামিনে বের হয়ে যেতে পারত… সেটা বিলম্বিত করেছে যেন আরও দুই দিন বেশি কারাগারে থাকতে হয়।”
বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমানের স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি ডা. শেখ মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় এ স্মরণসভায় বক্তব্য দেন। তবে বিএনপি এখনো সহিংস কোনো কর্মকান্ডের প্রস্তাবনা দেয় নি, এটিই দেশের সাধারণ নাগরিকের জন্য আশার কথা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply