
পুরান ঢাকার সদরঘাটের জজকোর্টের পুরনো ছয়তলা ভবনের লিফট ছিঁড়ে আহত হওয়া ১২ জনের মধ্যে আদালতের কর্মচারী এসএম জহিরুল হকের মৃত্যু হয়েছে।
জহিরুল ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে রেকর্ডকিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত ৭ মার্চ সকাল সোয়া ১০টার দিকে ওই দূর্ঘটনায় আহত অন্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট মিঠু, সোহাগ, আইয়ুব আলী, সুলতান আহমেদ, সামসুন্নাহার, সুমন, সুজন, মহুরি আমিন, লিফটম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও সাক্ষী আনজুমান আরা।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান খান রচি জানান, আহতদের নয়জন এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, ৩৯ বছর ধরে চলা আটজন ধারণ ক্ষমতার এ লিফটটি ১২ জন নিয়ে ওপরে ওঠার কারণে দূর্ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায়কে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ঢাকার জেলা জজ মো. হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জমাও পড়েছে। প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি দূর্ঘটনার জন্য লিফটম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও লিফটের তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান রশিদ এন্টারপ্রাইজকে দায়ী করেছেন।
ওই ঘটনায় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজের নাজির তরিকুল আলম কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
১৯৮০ সাল থেকে চলমান ওই পুরনো লিফট দেখভালের দায়িত্ব ছিল পিডব্লিউডি। প্রতিষ্ঠানটি রশিদ এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে একজন লিফটম্যান নিয়োগ দিয়ে লিফটি পরিচালনা করতো।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply