
সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা। চালকরা নতুন আইনকে স্বাগত জানালেও যাত্রীরা বলছেন, সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের বিধান যৌক্তিক নয়। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনটিতে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও জনগণের সব প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আইন প্রণয়নের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। পরে চলতি বছরের ৬ আগস্ট প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়। যদিও আইন পাস হবার আগে সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই আইনটি নিয়ে মন্ত্রণালয় দেড় বছর আগেই কাজ শুরু করেছিল।
বুধবার জাতীয় সংসদে চারটি সংশোধনী এনে সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮ কণ্ঠভোটে পাস হয়। এতে চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বিলের ১১৪ ধারায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হত্যার উদ্দেশে হলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের কথাও বলা হয়েছে। বিলের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোনো গাড়ি চালানো যাবে না।
এ বিল নিয়ে চালকরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে যাত্রীদের মধ্যে।
একজন যাত্রী বলেন, ‘সাজাটা আসলে যথেষ্ট না। কারণ এটা তো প্রমাণিত হবে না, যে চার্জশিট দেবে তা তো সঠিক দেবে না।
একজন ড্রাইভার বলেন, ‘চোখ কী দশটা, দুই চোখ দিয়ে কয়দিকে খেয়াল করবো?’
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘নতুন আইনে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও জনসাধারণের প্রত্যাশার সবটুকু পূরণ হয়নি।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আইনটা কিন্তু বিভিন্ন দিক থেকে উন্নতই দেখতে পাচ্ছি। শিক্ষিতের দিকেও দেখা হচ্ছে। সামান্য জরিমানা থেকেও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া আহত, নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
পাস হওয়া বিলের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে দায়বদ্ধতার আওতায় আনা সম্ভব হবে না বলেও মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply