
গতকাল শনিবার ছিলো ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়ি মুক্ত দিবস’। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। বর্তমানে একটি আলোচিত বিষয় হচ্ছে সড়কে বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ জন্য যে কমিটি করে দিয়েছেন, সে কমিটি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য আমাদের কমিটি কাজ করবে। আমরা এ সময়ের মধ্যে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারব। আগামী সমন্বয় সভায় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানান।
ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপরে নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা সভায় বক্তৃতা করেন।
সাঈদ খোকন বলেন, দেখা যায় একটি পরিবারের সদস্য তিনজন অথচ তাদের পাঁচটি গাড়ি, এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না সে বিষয়ে কাজ করব। যেকোনো সমস্যা সমাধানের সূচনা সঙ্কটের মধ্যেই হয়। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে সব কাজেই জনগণের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
নজরুল ইসলাম বলেন, এখন উত্তর ও দণি সিটি করপোরেশনের ফুটপথ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। হাঁটার মাধ্যমে জ্বালানি অপচয় রোধ করা যায় ও স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।
সভাপতির বক্তৃতায় খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শহরের দূষণ কমাতে হবে। আমাদের বাস সার্ভিস কম। ভালো বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। হাঁটার স্থান নিশ্চিত করা ও ভালো গণপরিবহন চালু করা গেলে মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে বিরত থাকবে। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর ট্যাক্স বাড়িয়ে দেয়ার মত দেন।
নিরাপদ সড়কের দাবীতে এক সময় ছাত্ররা উত্তাল হয়ে উঠলেও এর আশাপ্রদ ফল মেলে নি। কারন, এর পেছনে দায়ী আমাদের সাধারণ মানুষেরই অসচেতনতা। আমরা সড়কে নিজেদের আইন মেনে চলার অভ্যাস করতে না পারলে, অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply