
মঙ্গলবার ভোলায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের কৃষি ও বানিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু।
বক্তব্যে তিনি বলেন, “৭১ সালে বাংলাদেশে যে ভয়াবহতা হয়েছিল সে কথা এখনও আমাদের মনে আছে। আমরা সেদিন যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও সেভাবে পাশে থাকতে চাই।”
দুদেশের সংস্কৃতিগত মিল আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুদেশ যেহেতু একই রকম, সেহেতু এখন দু দেশ মিলে সমন্বিতভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যেতে হবে।
এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ এখন সুসম্পর্কের মহাসড়কে রয়েছে বলে মনে করেন ভারতের কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের প্রশংসা করে প্রভু বলেন, “আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে তোফায়েল আহমেদ অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন। তার মতো ব্যক্তির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে থাকার দরকার আছে।”
তোফায়েল আহমেদের আমন্ত্রণে সুরেশ প্রভাকর ভোলা সফর করেছেন।
তিনি ভোলার বাংলাবাজারে তোফায়েল আহমেদ প্রতিষ্ঠিত স্বাধীনতা যাদুঘর পরিদর্শন শেষে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ অডিটরিয়ামে ভোলা জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড ট্রেড ডায়লগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, “ভারত সবসময় আমাদের পাশে ছিল এখনও আছে। সকল দুঃসময় ভারত আমাদের পাশে থেকে কাজ করেছে। কয়দিন আগেও যে চালের সংকট হয়েছিল তখন ভারত আমাদের চাল দিয়ে সহায়তা করেছে। আমাদের ঘাটতি পূরণেও আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি।”
তিনি ৭১ সালে ভারত ১০ মিলিয়ন বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেওয়ার কথা স্মরণ করেন।
বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমশিনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ৭১ সালে ভারতের সেনারা ও মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় রক্ত দিয়েছে।
“ইন্দিরা-মুজিব বন্ধুত্বের শক্তিশালী বীজ বপন করেছেন। হাসিনা- মোদির নেতৃত্বে সেই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হয়েছে। সুসময়-দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply