
আজ উদযাপনের দিনে সকালে থেকেই সচিবালয়ে ছিল প্রায় ছুটির আমেজ। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বেশিরভাগই এদিন সচিবালয়ে আসেননি।
দুপুরের আগেই টুপি-টিশার্ট পরে শোভাযাত্রার প্রস্ততি শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিকাল ৩টার দিকে সচিবালয় ও বিভিন্ন দপ্তর থেকে নয়টি পথে রওনা হতে শুরু করেন।
‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ লেখা সবুজ-লাল টিশার্ট এবং একেক মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ একেক রংয়ের টুপি পরে শোভাযাত্রায় যোগ দেন তারা। প্রায় সব দলের সামনে ছিল ব্যান্ড বাদকের দল। কোনো কোনো দল এগিয়েছে বর্ণিল সাজে নেচে, গেয়ে। কোনো কোনো দলে ছিল হাতি, ঘোড়া, বিশাল আকৃতির নৌকা।
> প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সেতু বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মীরা সমবেত হন বাংলা একাডেমি সংলগ্ন এলাকা।
বাংলা একাডেমি-দোয়েল চত্বর-আব্দুল গণি রোড-জিপিও হয়ে শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে পশ্চিম ফটক দিয়ে।
> স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হন।
তারা শোভাযাত্রা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান-মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেস ক্লাব-পল্টন-বায়তুল মোকারম হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর ফটকে পৌঁছান।
> ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা নগর ভবন এলাকায় জড়ো হয়ে শোভাযাত্রা করে গোলাপশাহ মাজার-গুলিস্থান মোড়-রাজউক ভবন হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব ফটক দিয়ে প্রবেশ করে।
> ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা রমনা পার্কের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে সমবেত হওয়ার পর শোভাযাত্রা নিয়ে মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেসক্লাব-পল্টন-বায়তুল মোকারম হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন।
> বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সমবেত হন বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর এলাকায়। পরে শোভাযাত্রা করে দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন।
মাথাপিছু আয়, মানবোন্নয়ন সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের ভিত্তিতে তিন বছর পর পর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের আবেদন পর্যালোচনা করে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)।
একটি দেশের মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১২৩০ ডলার, মানবোন্নয়ন সূচকে স্কোর ৬৬ বা তার বেশি এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে স্কোর ৩২ বা তার কম হলে সেই দেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতির যোগ্য বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১২৭১ ডলার, মানবোন্নয়ন সূচকের স্কোর ৭২.৯ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে স্কোর ২৪.৮ হওয়ায় বাংলাদেশ এ স্বীকৃতি পেয়েছে।
১৯৭৫ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পর বাংলাদেশ এবারই প্রথম তিনটি সূচকে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে সক্ষম হয়েছে।
২০২১ সালে সিডিপির ত্রি-বার্ষিক পর্যালোচনায় বাংলাদেশ যদি আবারও এ মানদণ্ডগুলোর কমপক্ষে দুটি পূরণ করতে পারে, সিডিপি তখন বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য সুপারিশ করবে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল তা অনুমোদন করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাঠাবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply