
বিএনপি’র দূর্গখ্যাত বাংলাভাই সৃষ্টিকারী দুলুর স্ত্রীকে বিপুল পরিমাণ ভোটোর ব্যবধানে নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার পর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলকে মন্ত্রী দেখতে চায় ভোটাররা। বর্তমান সরকারের নানামুখি উন্নয়নের ধারাবাহিকতার দ্রুত ছোঁয়ায় নাটোরের-২ আসনকে অলঙ্কৃত করে
নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতেই তাদের এই প্রত্যাশা। সদর উপজেলার ভাটোদাঁড়া গ্রামের ভোটার জলিল মৃধা জানান, তিনি অনেক দিন বিএনপি কর্মী হিসেবে কাজ করে ভোটের সময় এলাকার ভোটারদের মাধ্যমে বিএনপি’র বিজয়কে নিশ্চিত করেছেন।
কিন্তু বর্তমান সরকারের উন্নয়ন আর শফিকুল ইসলাম শিমুলের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে শিমুলের হাত ধরে কয়েক বছর আগে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিনি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মন পরিবর্তন করে তাদের ভোট নৌকায় নিশ্চিত করেছেন। ঘোড়াগাছা কেন্দ্রে এলাকার সকল উপস্থিত ভোটারকে নৌকা প্রতীকে ভোট নিশ্চিত করেছেন। শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি
নির্বাচিত হওয়ায় তিনি আনন্দিত। এখন শিমুলকে তিনি মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান কেননা এলাকার সাধারণ ভোটারদের এটা দাবী। শিমুল মন্ত্রী হলে এক সময়ের জঙ্গি উত্থানের রক্তাক্ত জনপদ এই নাটোরে উন্নয়ণ ত্বরান্বিত হবে। পরিবর্তন হবে সাধারণ মানুষের ভাগ্য। উন্নয়নের উন্নত জীবন পাবে নাটোরের নৌকার ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষ-এমনই দাবী করেন জলিল। নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এমকে ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ শিক্ষক-
কর্মচারী ঐক্যফ্রন্টের জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এর আগে আ’লীগ নেতা আহাদ আলী সরকার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু বিগত সংসদীয় সময়ে নাটোর-২ আসনে কোন মন্ত্রী ছিলেন না। শফিকুল ইসলাম শিমুল নাটোরের উদীয়মান তরুণ নেতৃত্ব। তিনি অনেক উদ্যমী এবং সমাজের জন্য ভাল কাজ করার অনেক ইচ্ছা রয়েছে তার। একই সাথে তিনি নাটোর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক। জেলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে সদর আসন থেকে শফিকুল ইসলাম শিমুলকে মন্ত্রী করা হলে জেলার নেতৃত্ব এবং উন্নয়নে সুষম সমতা আসবে।
এছাড়া জেলার উন্নয়নে শিক্ষার প্রসার ঘটানো একটা বড় কাজ। এই কাজটি করতে হলে জেলা সদর হিসেবে নাটোর-২ সংসদীয় এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা প্রয়োজন। সর্বোপরি নাটোর সদর আসনে শিমুলকে মন্ত্রী করা হলে নাটোর জেলাকে আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি।
এসব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর পরিক্ষিত আ’লীগ কর্মী শফিকুল ইসলাম শিমুলকে মন্ত্রী করার দাবী করেন তিনি। নাটোর ও নলডাঙ্গা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, নলডাঙ্গার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বর্তমান সরকারের উন্নয়নে নাটোরকে সংযুক্ত করতে হলে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা
উপজেলাকে দ্রুত উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এই দুই উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিলহালতির অবহেলিত গ্রামগুলোর উন্নয়ন, পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলোর উন্নয়নে চারদিক দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মান এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই গ্রামগুলোর সমন্বয়ে একটি আলাদা ইউনিয়ন করা প্রয়োজন।
আসনে বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রীকে হারিয়ে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল জয়ী হয়। এই কারণে তাকে মন্ত্রী করলেই সদর আসনের উন্নয়ন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। তাছাড়া এক সময়ের বাংলাভাই ও জঙ্গির উত্থান হওয়া নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা থেকে সন্ত্রাস দূর করতে সক্ষম হয়েছেন এমপি শিমুল। শিমুলের পক্ষেই সম্ভব এই এলাকার সন্ত্রাসকে পুরোপুরী নিয়ন্ত্রণে রেখে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভাগ্যের দ্রত উন্নয়ন ঘটানো যা কেবলমাত্র মন্ত্রী হলেই সম্ভব। তাই নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক
স্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করে শিমুলকে মন্ত্রী করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নাটোর এম কে কলেজের বি,এস,এস শিক্ষার্থী মিঠুন সান্যাল জানান, এমপি শিমুল একজন তরুণ নেতৃত্ব। আদিকাল থেকে নাটোর ঐতিহ্যবাহী শহর হওয়া স্বত্বেও রাজশাহী ও ঢাকার মত নেই এখানে তরুণদের শিক্ষার ব্যাপক সুযোগ। নেই কোন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে নাটোরের তরুণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণ ও পরবর্তী কর্মসংস্থানের জন্য ছুটতে হয় রাজশাহী আর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে। অথচ নাটোর একটি কৃষিভিত্তিক এলাকা বিধায় এখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন কল-কারখানা করার মত যথেষ্ট জায়গা ও উপযোগীতা রয়েছে।
এসকল কাজ করা গেলে নাটোরের তরুণদের নাটোরেই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে যার ফলে নাটোরের সার্বিক উন্নয়নে আসবে গতি।
এগুলো কাজ একজন সাধারণ এমপির পক্ষে সম্ভব নয় অথচ একজন মন্ত্রীর পক্ষে তা অতিসহজেই করা সম্ভব। তাই নাটোর সদর আসনের এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলকে মন্ত্রী করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন। নাটোরের ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত অতিক্রম করে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার যানবাহন। নাটোরে রয়েছে
বাংলাদেশের বিখ্যাত চলনবিল। এখানে রয়েছে উত্তরা গণভবন যা প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই গণভবনে রাত্রী যাপন করেছেন। জনশ্রুত রয়েছে, তিনি নাটোরকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী করতে চেয়েছিলেন।
তাই নাটোর-২ আসনকে দ্রুত উন্নয়নের ছোঁয়া দিলে প্রকারান্তরে তা এতদঞ্চলের সার্বিক চিত্রে প্রতিফলন ঘটাবে তাই তা সম্ভব কেবল এই আসনের বিজয়ী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলকে
তাই নাটোর-২ আসনকে দ্রুত উন্নয়নের ছোঁয়া দিলে প্রকারান্তরে তা এতদঞ্চলের সার্বিক চিত্রে প্রতিফলন ঘটাবে তাই তা সম্ভব কেবল এই আসনের বিজয়ী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলকে
মন্ত্রী করার মাধ্যমে। এসকল বিবেচনায় শফিকুল ইসলাম শিমুলকে মন্ত্রী করে নাটোর-২ আসনের সকল ভোটার ও সর্বস্তরের জনগণের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে পদক্ষেপ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এমনটাই দাবী করেছেন নাটোরের সর্বস্থরের মানুষ।
Leave a Reply