
ব্রিটেনের একটি মেডিকেল জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ডাক্তাররা একজন রোগীকে গড়ে মাত্র ৪৮ সেকেন্ড সময় দেন। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসা বিষয়ক নানা অভিজ্ঞতার কথাই পাঠকরা তুলে ধরেছেন ডয়চে ভেলের ফেইসবুক পাতায়।
ডাক্তারি হচ্ছে মানুষের সেবার কাজ, তাই রোগীর প্রতি ডাক্তারদের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন পাঠক রিশা।
আর রহুন আমিন সজীব মনে করেন, বাংলাদেশের ডাক্তার দেখানোর খরচ পৃথিবীর অন্য যে কোনো উন্নত দেশের তুলনায় ৪৮ গুণ বেশি। আর সেকারণেই নাকি অনেক মানুষ রোগ পুষে রাখেন অযাচিত খরচের ভয়ে। বাইরের দেশে রোগকে ভয় পায়, চিকিৎসাকে না। শুধুমাত্র আমাদের দেশেই রোগী বাঁচাতে গিয়ে স্বজনকে মরতে হয় অর্থাভাবে।
ওবায়দুল্লাহ মিজানের বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য,‘ বাংলাদেশের ডাক্তারা খুবই ভালো, তারা রোগী না দেখেই চিকিৎসা করতে পারেন।’
পাঠক মিন্টু মোরশেদের অভিজ্ঞতা এরকম, ‘বাংলাদেশের ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি, চেহারা দেখেই সব বলে দিতে পারে। আমি তো একবার মাথা ব্যথার জন্য তিন মাস ঘুরেছি, রোগ নির্ণয় করতে পারেনি।’
এ বিষয়ে আজমির পাটোয়ারী মনে করেন, ডাক্তাররা আরো কম সময় দেন রোগীদের। তবে পাঠক শেখ ফরহাদ বিন আবেদিন মনে করেন, দেশের নেতা-নেত্রী যদি নিজের দেশেই চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয়, তাহলে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হতে পারে।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সরকারি এ হাসপাতালটি ২০১৫ সালে প্রায় আট লক্ষ রোগীকে সেবা প্রদান করেছে।
অন্যদিকে আবরাহাম বলছেন, তার পরিচিত এক ডাক্তার নাকি প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০ রোগী দেখেন। আর সুব্রত শীল জানান, সে কারণেই নাকি বাংলাদেশের রোগীরা সুচিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বাংলাদেশর অনেক ডাক্তার রোগীদের সাথে ভালোভাবে কথা বলেন না বলেও মনে করেন তিনি।
তবে ভিন্নমত পাঠক জামানের। তিনি লিখেছেন, ‘ব্রিটেনের একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত পুরো রিপোর্ট না পড়ে মন্তব্য করা সম্ভব না।’
বন্ধু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মনে করেন, এমন ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply