
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল বাকেরি সরকারি সফরে পাকিস্তান গেছেন। জানা যায়, পাক সেনাপ্রধান তাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
এই সফরে জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামুন হোসেইনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেন জেনারেল বাকেরি।
সোমবার রাতে পাক প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাতে বলেন, পাকিস্তানের সাথে যৌথভাবে সমরাস্ত্র নির্মাণ করে আমরা সেসব অস্ত্রকে ‘যৌথ ইসলামি পণ্য’ হিসেবে অভিহিত করতে চাই।
সাক্ষাতে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতসহ সকল ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ ও তেহরানের মধ্য সহযোগিতা শক্তিশালী হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পাক প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেইন। তিনি বলেন, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যকার প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের কথা উল্লেখ করে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে পাক নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল জাফর মাহমুদ আব্বাসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাকেরি পাক সেনাপ্রধানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে রোববার থেকে ইসলামবাদ সফর শুরু করেছেন তিনি।
পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সাথে সোমবার এক বৈঠকে ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি বলেছেন, আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং এ অঞ্চলে নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে দেশটির অবস্থান।
জেনারেল বাকেরি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যেসব দেশ নিরাপত্তাহীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চায় তার শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। তিনি আরো বলেন, এ অঞ্চলের স্বাধীনচেতা দেশগুলো শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় বিরাট ভূমিকা রাখছে এবং ইরান ও পাকিস্তানের এ মুহূর্তের দায়িত্ব হচ্ছে, দু দেশের মধ্যকার আন্তরিক সম্পর্ক জোরদার করা যাতে আঞ্চলিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। জেনারেল বাকেরি জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার চলমান পরিস্থিতিতে তেহরান ও ইসলামাবাদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক অবশ্যই জোরদার করতে হবে।
পাকিস্তান ইরান সম্মিলিত ভাবে হয়তো সমরাস্ত্র তৈরী করতে পারে, তবে এটি শান্তি রক্ষার কোনো পথ বলে মনে হয় না। এর মাধ্যমে আমেরিকা এবং অন্যান্য কিছু দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক অবনতির দিকে যেতে পারে। অস্ত্র তৈরী কখনোই একটি অঞ্চলের মানুষের মাঝে শান্তি আনতে পারে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply