
আজ বুধবার ভোট গ্রহন চলছে পাকিস্তানে। নিরাপত্তা কর্মীদের ফাঁকি দিয়েই পাকিস্তানের কোয়েটা নামক এলাকায় ভোটের দিনে বোমা হামলা করা হলো। উক্ত হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম ডন জানিয়েছে, বুধবার সকালে সোরা দেশে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেলা ১১টার দিকে কোয়েটার ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় একটি পুলিশ ভ্যান লক্ষ্য করে ওই বোমা হামলা চালানো হয়।
কোয়েটা সিভিল হাসপাতালের কর্মকর্তা ওয়াসিম বেগের বরাতে ডন জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। হতাহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকরাও আছে।
কোয়েটা পুলিশের মহা পরিদর্শক মোহসিন বাট বলেছেন, এ ঘটনা আত্মঘাতী হামলা বলেই তাদের মনে হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে সেখানে তদন্ত শুরু করেছে।
কোয়েটার ওই আসনটি নির্বাচনের আগে থেকেই স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। সেখানে একটি স্কুলে ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই বাইরে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাজা হওয়ার পর সেনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কার মধ্যেই বুধবার এই সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে পাকিস্তানিরা।
গত জুলাইয়ে এ নির্বাচনের প্রচারের শুরু থেকে সহিংসতা ও জঙ্গি হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
এর মধ্যে ১০ জুলাই আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) এক দলীয় বৈঠকে বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হন। এর তিন দিনের মাথায় বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) এক বৈঠকে বোমা হামলায় এক প্রার্থীসহ অন্তত ১২৮ জন নিহত হন।
পাকিস্তানে বোমা হামলার বিষয়টি বহু পুরোনো। সেখানে স্কুল কলেজে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জঙ্গী গোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বহু নিরীহ মানুষ। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পাকিস্তানের প্রশাসনকেই কাজ করতে হবে। জঙ্গি মতাদর্শের সংগঠন গুলোকে মদদ দেয়া যাবে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply