
কামরান আহমেদ রাজীব কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ট্রেনে কাটা পড়ে শাহীন রেজা (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা আত্মহত্যা না দূর্ঘটনা তা নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। নিহত শাহীন রেজা দৌলতপুর উপজেলার
তারাগুনিয়া গঙ্গারামপুর গ্রামের নিহার মন্ডলের ছেলে এবং সে দৌলতপুর কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। শনিবার সকাল ৯টার দিকে ভেড়ামারা উত্তর রেলগেটের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার প্রবীর কুমার দেবনাথ জানান, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ি গোয়ালন্দ ঘাটগামী আন্তঃনগর ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে কলেজ ছাত্র শাহীন গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, মাথায় আঘাত জনিত কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে দৌলতপুরের নিজ এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কলেজ ছাত্র শাহীন রেজার সাথে তারাগুনিয়া শালিমপুর গ্রামের হামিদ আলীর মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্কের কারনে শুক্রবার ওই মেয়েটি বাড়ি ছেড়ে ভেড়ামারা সাতবাড়িয়া এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের বাবা দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দিলে দৌলতপুর থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে শাহীন রেজাকে আটক করে থানায় নিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েটির সন্ধান নেয়।
এরপর মেয়েটির সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখা হবে না এই মর্মে মুচলেখা নিয়ে শাহীন রেজাকে থানা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয় দৌলতপুর থানা পুলিশ। এঘটনার জের ধরে এবং অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে কলেজ ছাত্র শাহীন রেজা শনিবার সকালে ট্রেনের নীচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে জানতে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে দৌলতপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই নকিব বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এদিকে নিহত কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply