
অবশেষে ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাজারে আসতে যাচ্ছে খুলনা ওয়াসার বোতলজাত ‘সুন্দরবন’ পানি। ৩০০ মিলিলিটার থেকে পাঁচ লিটার পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণির বোতলে এই পানি পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে কারখানার মূল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বোতল উৎপাদন, পানি পরিশোধন, বোতলে ভরা এবং লেবেলসহ বিপণনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ ”অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি”কে বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে যাবে সুন্দরবন পানি। তিনি আরও জানান, আপাতত বাজারে যে খুচরা মূল্যে বোতল পানি বিক্রি হয়, সেই দামেই সুন্দরবন পানি বিক্রি হবে। তবে পাইকারি বা ডিলারদের জন্য বাজারদর থেকে কম মূল্যে পানি সরবরাহ করা হবে। এরই মধ্যে ডিলার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় একটি বোতল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য নগরীর রায়ের মহল এলাকার জলিল সরণির পাশে ১৫ দশমিক ৩৭ কাঠা জমি অধিগ্রহণ করে ওয়াসা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) লিমিটেডের সঙ্গে কারখানা নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন ও পরিশোধন শেষে বোতলে ভরা হবে। এখানে পানি পরিশোধন কেন্দ্রের সঙ্গে বোতল উৎপাদন কারখানাও থাকবে। চুক্তি অনুযায়ী, এই কারখানায় প্রতি ঘণ্টায় ৮ হাজার লিটার হিসেবে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ৬৪ হাজার লিটার পানি উৎপাদন হবে। ৩০০ মিলি, ৫০০ মিলি, ১ লিটার, ২ লিটার, ৩ লিটার, ৫ লিটার বোতল এবং ২০ লিটার জারে করে প্রতিদিন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮০ বোতল পানি বোতলজাত করা হবে।
গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দোতলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। বিদ্যুতের সাবস্টেশন ও নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের কাজও শেষ হয়েছে। ভবনের ভেতরে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজও শেষ।
ওয়াসার প্রকল্প ব্যবস্থাপক খান সেলিম আহম্মদ সমকালকে জানান, এখানে বোতল উৎপাদন, পানি পরিশোধন ও প্যাকেজিংয়ের সব কাজ হবে যন্ত্রের মাধ্যমে। হাতের কোনো
স্পর্শ থাকবে না। এরই মধ্যে বোতলজাত পানি তৈরি ও বোতল উৎপাদনের সব যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়ে গেছে। এখন শেষ মুহূর্তের ঘষামাজার কাজ চলছে। ১৫ দিনের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply