
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসে দেয়া ভাষণে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, এমন একটি অহিংস, সুষ্ঠু, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ দেশের মানুষের প্রজ্ঞা ও প্রত্যয় ধর্মনিরপেক্ষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের বিষয়েও তিনি কথা বলেন। এই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এই প্রজ্ঞা ও প্রত্যয়ের কারণে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানো সম্ভব হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সেই একই প্রজ্ঞা ও প্রত্যয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করবে।
বাংলাদেশে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে এখন মারশা বারনিকাট বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। আগস্টের মাঝামাঝি বার্নিকাট বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তির এগ্রিমো বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর তা মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আওয়াল মিন্টুসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়িক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, আমরাও সুষ্ঠু, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চাই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার জন্য সংলাপের কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক তার বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে সহমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় ব্রিটেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর গড়ে উঠেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শান্তি ও উন্নয়ন অন্বেষায় আমরা প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেছি।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠির অংশবিশেষ পড়ে শুনান মাহমুদ আলী। এতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে।
এভাবেই অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে এবং নিজেদের আত্মোন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে দাঁড়াচ্ছে ধীরে ধীরে। তবে এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে। এটিই জনসাধারনের প্রত্যাশা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply