
সড়ক দুর্ঘটনা যেন থামছেই না। প্রতিদিন নিত্য নতুন দুর্ঘটনার খবর আসছে, যেগুলো প্রায় সবকটিতেই দায়ী চালকের বেপরোয়া চালনা।
আজ রাজধানীর কুর্মিটোলার এয়ারপোর্ট রোডে বাসের চাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে চারজন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল। তবে, তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিরপুর-উত্তরা রোডের জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস মিরপুর থেকে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে আসছিল। এ সময় ফ্লাইওভারের গোড়ার দিকে, রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল একদল শিক্ষার্থী।
এ সময় ফ্লাইওভার থেকে নেমেই দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের বাসটি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো বেশ কয়েকজন। সেখানে দুটি বাস একটি অন্যটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছিলো বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। অগ্নি সংযোগ করেছে দুটি বাসে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল জানান, আজ দুপুরের দিকে এই ঘটনার পর ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। সেখানে তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এএসআই বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা র্যাডিসন হোটেলের সামনের রাস্তায় যেখানে ইউটার্ন গ্যাপ রয়েছে, সেখান থেকে রাস্তা পার হচ্ছিল। অনেকে বাসের জন্য ফুটপাতে অপেক্ষা করছিল। এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, বাসচাপায় চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আর কতগুলো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসনের টনক নড়বে? আর কতগুলো প্রাণ কেড়ে নিলে বাস চালকেরা আরেকটু সচেতন হবেন? আরেকটু মনুষত্ব কবে জেগে উঠবে তাদের ভেতর? উত্তরের আশায় জনসাধারন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply