
তিন দিক সামলে এবার নির্বাচনে যেতে হচ্ছে বিএনপিকে। একদিকে নিজ দল, অন্যদিকে নতুন ও পুরোনো দুই জোট—সবার মন রক্ষা করে আসন সমঝোতায় পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে দলটিকে।
বিএনপি ও জোটের সূত্রগুলো জানায়, আগের ২০-দলীয় জোট ও নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের ন্যূনতম চাহিদা ৯০টির মতো আসন। শরিকদের এই চাহিদা মেটাতে বিএনপি হিমশিম খাচ্ছে। যদিও বিএনপি এখন পর্যন্ত সব আসনে নিজের দলীয় মনোনয়নও চূড়ান্ত করেনি।
দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, ১০ বছর পর বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ে সরকারের নিপীড়নের শিকার হওয়া মাঠনেতাদের বড় একটি অংশের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে প্রবল প্রত্যাশা জেগেছে। তাদের এই প্রত্যাশাকে চাপা দিয়ে দুই জোটের শরিকদের বড় আকারে ছাড় দেওয়া বেশ কঠিন। আবার দলের নীতিনির্ধারকদের নজর রাখতে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোট ও মিত্রদের দিকেও। তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী কারা, কে কোন আসনে—এসব বিবেচনায় রেখেই বিএনপিকে প্রার্থী ঠিক করতে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিএনপি ৩০০ আসনে দলীয় মনোনয়ন–প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষ করেছে। এখন বাছাই চলছে। চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রকাশ করতে আগামী রবি বা সোমবার পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এ সময়ের মধ্যে ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে পৃথকভাবে আসন সমঝোতার ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিএনপি এখনো ব্যস্ত নিজেদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে। আমরা আশা করছি, আগামী শনি বা রোববারের মধ্যে সবার সঙ্গে আসনের ব্যাপারে আলোচনা হবে।’
দুই জোটের কত আসন
বিএনপি ছাড়া ২০-দলীয় জোটের অন্য শরিক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে কত আসন দেওয়া হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। জানা গেছে, দুই জোটের শরিকেরা কমপক্ষে ৯০টির মতো আসন দাবি করছে বিএনপির কাছে। এর মধ্যে জামায়াত অন্তত ৩৫টি (যা গত নির্বাচনে তারা পেয়েছিল) চাইছে। এই জোটের অন্য শরিকদের ন্যূনতম দাবি ২০টির মতো। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চার শরিক গণফোরাম, জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্য কমপক্ষে ৩০-৩৫টি আসন চায়। কিন্তু বিএনপি মাঠের খোঁজখবরের ভিত্তিতে দুই জোটের শরিকদের সর্বোচ্চ ৫০টির মতো আসন ছাড়ার কথা চিন্তা করছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply