
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার চণ্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাসদ এক জনসভার আয়োজন করে। উক্ত জনসভায় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্য জোট দেশে কোনও নির্বাচন চায় না। তারা চায় জঙ্গি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির নামে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি। এ লক্ষ্যে নিয়েই তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। তখন কোনও সরকার থাকবে না। দেশ ভূতের সরকার চালাবে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে যেকোনও মূল্যে ডিসেম্বরে শেষ সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন হবে। কোনও বাধায় এ সরকারকে রুখতে পারবে না বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ সরকার দেশের উন্নয়ন করলে আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ রায় দিয়ে আবারও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এই উল্লাস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, এই উল্লাস রাজাকারের। সুতরাং এই ঐক্যটা অপরাধীদের রক্ষার ঐক্য এবং সব রাজাকার ও অপরাধীদের এক করার ঐক্য। জাতীয় ঐক্যের নামে যে ঐক্য গঠিত হয়েছে তাদের দাবি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তারা নির্বাচনের জন্য নয় বরং কীভাবে নির্বাচনকে বানচাল করা যায় তার একটা ফন্দি-ফিকিরের প্রস্তাব উত্থাপন করছেন। তারা বাংলাদেশকে সংবিধানের বাইরে ফেলে দেওয়ার একটা পাঁয়তারা শুরু করেছেন। যারা সমারিক শাসন ও রাজাকারের দালালি করেছে এবং জঙ্গির পক্ষে সমর্থন নিয়েছে তাদের সঙ্গে হঠাৎ করে কামাল হোসেন ও বি.চৌধুরীরা হাত মেলালো কী করে তা আমার বোধগম্য নয়।’
‘জাতীয় ঐক্য’ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনা চলছে। বিএনপি একে ক্ষমতায় যাবার একটি মাধ্যম হিসেবেই হয়তো দেখছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগন কাদের গ্রহন করবে সেকথা কেবল মাত্র নির্বাচনেই পরিলক্ষিত হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply