
মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে ৫০০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি সভাপতি এবং দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহর সই করা নোটিসে তাকে আগামী ১১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ওইদিন সকাল ১০টায় অনুসন্ধান কর্মকর্তার দপ্তরে রুহুল কুদ্দুস দুলুকে উপস্থিত থাকতে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। নাটোরের সাবেক সাংসদ দুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিএনপি সরকারের আমলে নাটোরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
গত ৮ মার্চ তার এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম অনুসন্ধান কাজের তদারক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে ২০০৭ সালে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত নয় কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্জনের অভিযোগে দুলুর বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা করে দুদক।
ওই মামলায় একই বছরের ২৯ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পরে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন দুলু। হাইকোর্ট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আবেদন গ্রহণ করে ২০১২ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি বাতিল করে দেন।
এর বিরুদ্ধে আপিলে যায় দুদক। ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর আপিল বিভাগ দুদকের আবেদন গ্রহণ করে হাইকোর্টের রায় বাতিলের আদেশ দেন।
এদিকে স্থানীয় সুত্র জানায়, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ছাড়াও নাটোর, নলডাঙ্গা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, আত্রাই, বাগমারা ও ডিএমপির বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, জেএমবি, ত্রাণের টিন আত্মসাৎ, বাড়ি পোড়ানোসহ ৪৭টি মামলা রয়েছে।
এরমধ্যে ১৪টি বাড়ি পোড়ানো মামলা, ৪টি দুদকের, ত্রাণের টিন আত্মসাতের ৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দুই মামলায় ২৩ বছর সাজা দিয়েছে আদালত। এরমধ্যে বাড়ি পোড়ানো এক মামলায় ১৪ বছর এবং অপর মামলায় ৯ বছরের সাজা দেয় আদালত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply