
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান রানওয়ে তে বিধ্বস্ত হওয়ার পূর্বে কয়েকবার ঝাঁকুনি দেয় বলে জানিয়েছেন বিমানের জানালার কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে এসে বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী। আহত ঐ যাত্রীর নাম বসন্ত বহরা।
তিনি স্থানীয় গণমাধ্যম কাঠমুন্ডু পোস্ট কে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, বিমান টি তে তিনি সহ বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির মোট ১৬ জন যাত্রী ছিলেন। তারা প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। তিনি রোসেতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেরস এ্যান্ড ট্যুরস কোম্পানিরর হয়ে প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন। দূর্ঘটনার কবলিত বিমানের জানালার পাশে তার সিট ছিল, তিনি জানালার কাঁচ ভেঙে লাফিয়ে বেরিয়ে আসেন। তিনি বর্তমানে নেপালের তাপাথালি নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি কাঠমুন্ডু পোস্ট কে বলেন,ঢাকা থেকে যখন বিমান টি ছেড়েছিল তখন কোন সমস্যা ছিল না।কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার আগমুহূর্তে সমস্যা দেখা দেয়। হটাৎ করে বিমান টি ঝাঁকুনি দিতে থাকে।এতে যাত্রীরা হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। আমি জানালার পাশের ছিটে বসা ছিলাম। আমি জানালার কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসি।
তিনি আরো বলেন,আমি জানালা দিয়ে বের হওয়ার পর আর কিছু বলতে পারছি না।কারা যেন আমাকে সিনেমঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার বন্ধুরা সেখান থেকে আমাকে নরভিক হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।আমার মাথা ও পায়ে আঘাত লেগেছে।তবে আমি ভাগ্যক্রমে বেঁচে আছি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply