
বিশ্ব নেতারা চান আমি আবার ক্ষমতায় আসি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন । তিনি বলেন, নির্বাচনে যাদের যাওয়ার শক্তি নেই,তারাই ষড়যন্ত্র করে ।
বাংলাদেশের মানুষ চায় নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে সবাই অংশ গ্রহন করবে। এখন কোন দল যদি না আসে সেটা তাদের ব্যাপার। যে সব দল সাড়া দিয়েছে তাদের নিয়েই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে।
আজ মন্ত্রীসভায় কোটা বাতিলের বিষয় নিয়ে আমাদের নতদুন সময় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আগেই চেয়েছিলাম কোটা সংস্কার করতে আন্দোলনের কোন দরকার ছিলো না। অথচ তবুও আন্দোলনের নামে ভাংচুর করা লুটপাট চালিয়েছে। যারা আন্দোলন করেছে তাদের সঙেগ আমাদের দলীয লোকজনকে দিয়েও কথা বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু কথায়ই শোনেনি। এখন কোটাও নাই, আন্দোলন নাই। কোটাই যদি না থাকে তাহলে আন্দোলন করবে কিভাবে। কেউ যদি একাটা চায় তাহলে তাকে আন্দোলন করতে হবে। তাহলেই পাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ বিকেল ৪টায় শুরু হয়। বিটিভিসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে। সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন।
নিউ ইয়র্কে ছয় দিনের সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সঙ্কট সামাল দিতে দূরদর্শী ভূমিকার জন্য নিউ ইয়র্কে ইন্টার প্রেস সার্ভিসের ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ সম্মাননা দেওয়া হয় শেখ হাসিনাকে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন শেখ হসিনা।
সাধারণ পরিষদে ভাষণের আগে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘পূর্ণ সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতার’ প্রতিশ্রুতি দেন।
ঢাকা থেকে ২১ সেপ্টেম্বর রওনা হয়ে দুদিন লন্ডনে কাটিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেদিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেন তিনি।
নিউ ইয়র্কে সফরের দ্বিতীয় দিন ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট অবসানে তিনটি প্রস্তাব বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply