
গাবতলীতে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। সোমবার( ২০ আগস্ট) যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পারছেন কিনা তা দেখতে গাবতলীতে যান তিনি। এরপরেই যাত্রীরা অতিরিক্ত বাস ভাড়ার অভিযোগ জানাতে থাকে।
যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগের পরে সরেজমিনে কাউন্টারে যেয়ে দেখতে পান ভয়ংকর অবস্থা। কাউন্টারে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বিষয়ে স্বচক্ষে দেখার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।ডিএনপি কমিশনারকে সরেজমিনে পেয়ে একযাত্রী অভিযোগ করেন ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা অথচ ভাড়া হওয়ার কথা ২৭৮ টাকা।
টিকিট কাউন্টারে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমার বাড়ি আলফাডাঙ্গা আমি জানি ভাড়া ২৭৮ টাকা কিন্তু ৫০০ টাকা নিচ্ছেন কেন! এরপর টিকিট মাস্টার বলেন, বিআরটিএ চার্ট দিয়েছে স্যার। তখন ডিএমপি কমিশনার বলেন’ আপনার চার্ট দেখান’।চার্ট দেখে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চার্ট অনুযায়ী ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গা ৩৫০ টাকা, তাহলে ৫০০ টাকা কেন নিলে’ এরপর টিকিট মাস্টার একটা অজুহাত দাড়া করানোর চেষ্টা করেন।
তখন ডিএনপি কমিশনার বলেন ‘৫০০ টাকা কেন নিলা বলো। এইরকম কয়টা টিকিট কাটছো তোমরা। মেরে একাবারে হাড় গুঁড়ো করে দিবো। এই টাকা ফেরত দাও। এই মাসুদ এদের সবগুলাকে বেঁধে থানায় নিয়ে যাও। এই বাসের মালিক কে। মালিকের নাম কি! তখন টিকিটি মাস্টার বলেন, ‘মালিকের নাম আশরাফ আলী’ এরপর ডিএনপি কমিশনার বলেন, ‘বাবা আমার বাড়ি আলফাডাঙ্গা আমি চিনি।
ভাড়া কেন বেশি নিচ্ছ। সব টাকা ফেরত দাও। আর ফেরত না নিলে আমারে জানাও। বাকি টাকা ফেরত দাও।পরে পুলিশ এসে টিকিট মাস্টারকে থানায় নিয়ে যায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি//আমিরুল ইসলাম//নাটোর প্রতিনিধি
Leave a Reply