
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ১৭ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে স্বামীর কাছে রাজধানী ঢাকায় রওয়ানা হয় ২০ বছর বয়সী নারী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় গয়নাগাটি আর নগদ টাকাসহ অপহরণ মামলা করে প্রিয়ার বাবা। সেখানে অপহরণকারী হিসাবে দেখানো হয় প্রিয়ার স্বামী তাশরিক সঞ্চয় কে। যদিও ঐদিন তাশরিক সঞ্চয় একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে নিয়জিত ছিলো ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩শ’ মাইল দূরে। ঘটনার যের ধরে প্রিয়ার বাবা-ভাই-মা ও মামা চক্রান্তমূলক ভাবে বিভিন্ন লোকাল গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয়া অপহরণ হয়েছে শিরোনামে তথ্য প্রচার করতে থাকে।
তাশরিক সঞ্চয়ের পরিবার সুত্রে জানা গেছে তারা আইনী ভাবে মামলাটি সুরাহার জন্য এগোচ্ছেন,তবে নানা ভাবে লাগাতার হুমকি-ধামকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, অপহরণ হয়েছে জানিয়ে প্রকাশিত খবরে তাশরিক-প্রিয়া দম্পতি কিংবা বাদি-বিবাদি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন বক্তব্য প্রকাশ হয়নি। এ বিষয়ে তাশরিক সঞ্চয় জানান– আমরা গত জুন মাস থেকে বিবাহিত দম্পতি। আমার স্ত্রী তার বাবার পরিবারের নির্যাতন আর স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ট হয়ে আমার কাছে চলে আসছে। তারপর থেকে আমরা একসাথে সংসার করছি। এরপর আমার শশুরের পরিবার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে এবং আমার সাবালিকা স্ত্রী কে হয়রানি করে আসছে। সম্পুর্ণ মনগড়া মামলায় আমার পুরো পরিবার কে হেনস্থা করা হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ভূয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আইন ও
সমাজের সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া জানান– আমি অপহরণ হইনি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সংসার করছি। আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী। আমার বাবার বাড়ির লোকেরা গতবছর আমাকে জোর করে মেরে ধরে রাতের অন্ধকারে বিয়ে দেয়। পরে পারিবারিক ভাবে সেটা ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পর আমি একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। জুন মাসে বিয়ে করি তাশরিক কে। পরিবার এটা মানতে না চাইলে পরবর্তীতে আমি আমার স্বামী তাশরিক সঞ্চয় এর কাছে চলে আসি এবং স্থানীয় প্রশাসন ও আমার পরিবার কে বিষয়টি জানায়। এরপর থেকেই আমার বাবার পরিবার নানা ভাবে আমাকে এবং আমার স্বামী কে লাঞ্ছিত করে আসছে। হুমকি দিচ্ছে। দৌলতপুর থানায় আমার বাবা আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে জেনেও আমাদের হেনস্থা করছে। আমি বাধ্য হচ্ছি ঘরের খবর পর কে জানাতে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply