
গত ১৫ দিনে ময়মনসিংহ নগরীতে শিশুসহ সাড়ে ৭’শ নারী-পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এস কে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনই বাসায় ফেরত আসার পর মারা গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার (১০ মার্চ) ভোর রাতে কাচিঝুলির শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ (৭০), (৯ মার্চ) শনিবার হামিদ উদ্দিন রোডের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বাদশা মিয়া (৭৬) ও (৮ মার্চ) শুক্রবার মৃত বাদশা মিয়ার বোন সাহেব কোয়ার্টার এলাকার রওশনারা খাতুন (৭৮) মারা গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ রোববার পর্যন্ত নগরীর কাঁচিঝুলী রোড, কলেজ রোড, পুলিশ লাইন, জেলখানা রোড, কাশর রোড, গোলাপজান রোড, খাগডহর, বাদেকল্পা, গোহাইলকান্দি, তিনকোনা পুকুরপাড়, স্টেডিয়াম রোড, ইটাখোলা রোড, কাঠগোলা, কালিবাড়ি ও পালপাড়া এলাকার ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে সাড়ে ৭’শ রোগী ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।
ডায়েরিয়ার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন (৪৫) জানান, তার বাবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর এস কে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে একদিন চিকিৎসার পর কিছুটা উন্নত হলে বাসায় নিয়ে আসেন। হঠাৎ পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ সময় ডাক্তাররা পরীক্ষা করে বলেন কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে। পরে দ্রুত অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে তিনি মারা যান। একই অবস্থায় আগের দিন তার ফুফু মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে থাকলে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে পুনরায় দূষিত পানি পান করলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর দীপক মজুমদার জানান, নগরীতে ডায়রিয়ার খবর পেয়ে আক্রান্ত এলাকায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্যালাইন ও ওষুধ বিতরণ করেছেন সিভিল সার্জন। তবে সিটি করপোরেশন সরবরাহকৃত পানিতে পানিবাহিত কোনো জীবানু আছে কিনা তা এখনো পরীক্ষা করা হয়নি। সোমবার সকালে জনস্বাস্থ্য বিভাগ পরীক্ষার জন্য পানি সংগ্রহ করেছেন।
ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন ডা. একে এম আবদুর রব সোমবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত কাঁচিঝুলি এলাকা পরির্দশন করেন। এ সময় আক্রান্ত এলাকার লোকজনকে রান্নাবান্না কাজে সিটি করপোরেশনর সরবরাহকৃত পানি ব্যবহার না করে টিউবওয়ালে পানি ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এবং গত ১৫ দিনে সিটি করেপোরেশন কেন পানি পরীক্ষা করা হয়নি সেজন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply