
এই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করে আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়। আন্দোলনকারীরা এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করে। কিন্তু সেই প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি।
গত ১ জুলাই শাহবাগ থানায় আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়।
মামলার নথিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন, যা প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন। এরপরও গত ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন।
আজ রোববার ঢাকার ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় কারাগারে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। আদালতের পক্ষ থেকে এদিন ধার্য করা হয়।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের উপপরিদর্শক (এসআই) সজীবুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ১ জুলাই রোববার রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনের ভাসানটেক বাজারের মজুমদার মোড়ের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে, গত ৩১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে বাধা দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে ১০ জনের মতো আহত হয়। আহতরা অভিযোগ করেছে, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এর পর পরই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ অধিকার ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে ‘সংবাদ সম্মেলনে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে ওই দিন থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং সারা দেশে বিক্ষোভ অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জননেত্রী শেখ হাসিনা অতি শীঘ্রই ছাত্রদের দাবী দাওয়ার ব্যাপারটা বিবেচনা করবেন, এবং সে অনুসারে ব্যবস্থা নেবেন, এমনটাই আশা সাধারন ছাত্রদের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply