
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। স্বাধীন বাংলার রূপরেখা মূলত সেদিন থেকেই দেখা শুরু করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাধারন মানুষ।
সেদিনের সোহ্রাওয়ারদী ময়দানের লাখ লাখ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর কন্ঠে আগুন ঝরিয়েছিলেন। সে আগুনে পুড়ে এসেছিলো পরবর্তীতে আমাদের স্বাধীনতা।
এরই তাৎপর্যে এবার ৭ই মার্চ নামের একটি ভবন নির্মিত হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে নির্মিত ৭ মার্চ ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি এ ভবনটির উদ্বোধন করেন।
১৯৭১ এর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১১ তলা বিশিষ্ট ৭ মার্চ ভবন নির্মাণ করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। এই ভবনে এক হাজার শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সমস্যা সমাধানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ১২টি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছিলেন। ভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল রোকেয়া হলের ‘৭ মার্চ ভবন’।
মুক্তিযুদ্ধে চেতনা এবং অনুপ্রেরণা দিয়েই আমাদের ক্রমাগত এগিয়ে যেতে হবে। কখনোই আমাদের গৌরবান্বিত ইতিহাস বিস্মৃত হয়ে গেলে চলবে না। ৭ই মার্চ নামের নির্মিত এ ভবনটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply