
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ শিল্পী আক্তার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সদর আমলী আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তারেক আজিজের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মামলার প্রধান আসামি মো. নিরব।
এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে নোয়াখালী ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার আসামিরা হলেন- নিহত গৃহবধুর দেবর মো. নিরব (২০), শশুর মুসলিম মিয়া (৫৫) ও শাশুড়ী হাজরা বেগম (৪৫)। তারা সবাই সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত গৃহবধূ শিল্পী আক্তারের বাবার বাড়ি কুমিল্লায়।
পুলিশ জানায়, গৃহবধূ শিল্পী আক্তার ও মো. নিরব আপন দেবর-ভারি। শিল্পী আক্তারের চার বছর বয়সী একজন ছেলে সন্তান রয়েছে। নাম মো. শিপন। ঘটনার দিন (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিশুটিকে কেন্দ্র করে দেবর-ভাবির মধ্যে ব্যাপক ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মো. নিরব ক্ষিপ্ত হয়ে একটি হাতপাখা দিয়ে গৃহবধূর মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। পরে তার বুকে ও তলপেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়া হলে তিনি মারা যান। ওই সময় গৃহবধূর শ্বশুর মুসলিম মিয়া ও শাশুড়ি হাজরা বেগম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে নাটক সাজিয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন তারা। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এমন জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি মো. নিরব।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, গৃহবধূ শিল্পী আক্তার হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এই মামলার প্রধান আসামি মো. নিরব বর্তমানে আদালতে রয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply