
লক্ষ্মীপুরে খিলবাইছা রহমানিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মো. নুর হাসান নামে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের এমন আচরণে অনেক শিক্ষার্থীই মাদ্রাসায় আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও অধ্যক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে ক্লাস বর্জন করে ওই মাদ্রাসার সামনে সড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অধ্যক্ষ অপসারণের দাবী জানান বিক্ষুব্ধরা। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নুর হাসান শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
মানবন্ধনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, সদর উপজেলার খিলবাইছা রহমানিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুর হাসান দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অধ্যক্ষের নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। তার এমন আচরণে লজ্জায় অনেক শিক্ষার্থী মাদাসায় আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
তারা আরো অভিযোগ করে জানায়, গত রবিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে অসুস্থ্য জনিত কারণে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ছুটি চেয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে যায়। শিক্ষার্থীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এক ঘন্টা কক্ষে আটক রেখে তার স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শসহ বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি করেন অধ্যক্ষ নুর হাসান। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী জোরপূর্বক কক্ষ থেকে বের হয়ে এসে বিষয়টি মাদ্রাসার সহকারী মহিলা শিক্ষিকা (ইংরেজি) নিফুলা আফরোজ কে জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসা বন্ধ করে দেয়।
এতে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। এছাড়াও অষ্টম, নবম, দশম ও আলিমসহ বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীদের সাথেও এমন আচরণ করেন বলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। এর প্রতিবাদে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অভিভাবকরা বুধবার সকালে সড়ক অবরোধ করে মানবন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় সড়কে ঘন্টাব্যাপী যানজোটের সৃষ্টি হয় । এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও অধ্যক্ষ নুর হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবী জানান তারা ।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার ম্যনেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবক আবদুল ওয়াহাব জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষের এমন আচরণে ছাত্রীরা মাদাসায় আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবীসহ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে খোজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply