
একাদশ সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের বিজয়ী দু’জন প্রার্থী শপথ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
গণফোরামের প্রার্থীরা শপথ নেবেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, আমরা এটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। এটা সিদ্ধান্ত সাপেক্ষ। আমার নিজের ধারণা আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবো। আমরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি। কিন্তু আমাদের প্রার্থীরা তো বিরোধী দল থেকে বিজয়ী হয়েছেন। আমরা বলেছি, এটা তাদের অর্জন। তারা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছি। অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের টিকে থাকবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হবে বলে আমি মনে করি। কারণ ঐক্যফ্রন্টের জন্য কাজ করে আসছি এবং করছি। নীতিগতভাবে আমি মনে করি, ঐক্যকে রাখার জন্য আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবো। এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আন্দোলনে বিষয়ে জানতে চাইলে- গণফোরাম সভাপতি বলেন, আন্দোলন তো করেই যাচ্ছি। জনমত গঠন করাও আন্দোলন। আলোচনা করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করাও আন্দোলনের অংশ। আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে এবং আন্দোলন আরো তীব্র হতে পারে।
জামায়াতের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. কামাল বলেন, জায়ামাত ঐক্যফ্রন্টে নাই। জামায়াত ২০ দলীয় জোটে আছে।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ঐক্যফ্রন্ট যদি কার্যকরভাবে কাজ করে তাহলে সরকারের ওপরে চাপ থাকবে আইন মেনে দায়িত্ব পালন করার। আর সরকারের ওপরে চাপ তৈরির করার ক্ষেত্রে আমাদের এই ঐক্যের চাপ কাজে লেগেছে। আরো লাগবে বলে আশা করি।
তিনি বলেন, দুঃখ লাগে, বছরে শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন খেয়াল- খুশির ব্যাপার নয়। সংবিধানের তো একটা কর্তব্য রয়েছে। আমরা চেয়েছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যেখানে জনগণের মালিকা থাকবে। তারা মালিক হিসেবে তাদের প্রতিনিধিত্ব করবে।
কামাল হোসেন বলেন, খুবই দুঃখজনক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে আঘাত দেয়া হয়েছে। আর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে সেখানে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র থাকে না। এটা সংবিধানের ওপরে আঘাত দেয়া।
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply