
দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে কাল বুধবার (৫ জুন) ৩০ রোজা পূর্ণ হবে। পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ জুন) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন কমিটির সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায় নি। সেই অনুযায়ী, বুধবার (৫ জুন) ঈদ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সারাদেশে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
তিনি বলেন, ‘‘সভায় ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র শাওয়াল মাস গণনা শুরু হবে। ১ শাওয়াল সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।’’
দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। দিনটি বড়ই আনন্দের, খুশির। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। শহরবাসী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে যান আপনজনের কাছে, মিলিত হয় আত্মীয়-স্বজনের সাথে। এ দিন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ঈদ-উল-ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ-এ প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে। এই সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক- এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply