
গত ২৮ আগস্ট কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড় এলাকায় এক মা’কে ধাক্কা দিয়ে তাঁর কোল থেকে শিশুকে ছিটকে ফেলে দেয়। এতে গুরুতর আহত শিশু আকিফার মৃত্যু হয়।
এরই প্রেক্ষিতে গঞ্জেরাজ পরিবহনের ওই বাসের চালক মহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার র্যাব কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
ফয়সাল গঞ্জেরাজ নামের বাসটি ওই শিশুসহ তার মাকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে আকিফা গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। মামলায় বাসের মালিক, চালকসহ তিনজনকে আসামি করা হয়ে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কাদেরী।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক মো. জয়নাল আবেদীনকে (৬৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে র্যাব। ১০ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে একই সময়ে গঞ্জেরাজ বাসের চালক মহিদ মিয়া আত্মসমর্পণ করেন।
এরপর তাঁদের দুজনের আইনজীবী আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন দেন। পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন কাদেরী মামলাটি ৩০২ ধারায় সংযোজন করার জন্য একই আদালতে আবেদন করেন। আবেদনটি আদালত মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে আদালতের উপপরিদর্শক আজহার আলী বাসের মালিক ও চালকের জামিন আদেশ বাতিলের আবেদন করলে আদালত তাঁদের জামিন আদেশ বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হলেন মহিদ মিয়া।
নিরাপদ সড়কের দাবীতে কিছুদিন আগেই উত্তাল হয়ে উঠেছিলো ছাত্রসমাজ। তবু পরিস্থিতির দৃশ্যমান তেমন উন্নয়ন চোখে পড়ছে না। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার রোধ করা যাচ্ছে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply