
জেলার শেরপুরের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের চালিয়ে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ক্লসরুমে আটকে রাখা, ছত্রদের বেদম মারধর, অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অভিভাবকরা বলছেন, প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো না। সূত্রে জানা যায়, খানপুর
ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা খানমের বিরুদ্ধে গত ৫ নভেম্বর ২০১৮ ওই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই বিদ্যালয়ে গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের নামে স্লিপের বরাদ্দের অর্থ ৪০ হাজার, টিউবওয়েল স্থাপনের ২০ হাজার, রেজিস্ট্রার্ড খাতাপত্র ক্রয় বাবদ ১০ হাজার ও উঠান বৈঠকের ৫ হাজার টাকা মিলে ৭৫ হাজার টাকার কোন প্রকার কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন ওই শিক্ষিকা। শুধু চলতি অর্থ বছরের অর্থ নয় বিগত ৩ বছর যথাক্রমে ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের
বরাদ্দকৃত একই অর্থ ব্যয়ের হিসাব খাতাপত্রে দেখালেও কোন দৃশ্যমান নজির নেই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রধান শিক্ষিকা ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্যদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই মনগড়াভাবে আংশিক কাজ করে পুরো অর্থ আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে প্রতিবছরের কনটিডেন্সি বিলের অর্থ, মা সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের টাকা কোন কাজ না করেই নিজে আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানের যোগদানকৃত নৈশ প্রহরী কাম দফতরির বসার টুল ক্রয় না করায় তাকে সবসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ কমিটির অন্য সদস্যারা এসব বিষয়ে প্রধান
শিক্ষকের কাছে হিসাব চাইলে তিনি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে নানা কৌশলে এড়িয়ে যান। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ন ও দুর্নীতি সম্বলিত অভিযোগ দায়ের করলেও অদ্যবধি অজ্ঞাতকারণে তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতা স্থানীয় সচেতনমহলকে ভাবিয়ে তুলছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা খানম বলেন, “কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত নই তবে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তা আমি মেনে নেবো।” এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “আগামীকাল থেকে ছাত্র-ছাত্রী পাঠাবে বলে অবিভাবকদের সঙ্গে সন্তোষজন আলোচনা হয়েছে ও দুর্নিনীতির অভিযুক্ত বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply