
নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের জন্য একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ। এটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে এবং টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
বাংলাদেশের এই অপরূপ সেন্ট মার্টিনস দ্বীপকে মিয়ানমার তার নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করার পাঁয়তারা করছে মিয়ানমার। দ্বীপটিকে নিজেদের মানচিত্রে দেখিয়েছে দেশটি। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের জিজ্ঞাসার জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন ও বলেছেন, বিষয়টি ভুলে হয়ে থাকতে পারে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স) খোরশেদ আলম ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রণালয়ে তলব করেন। তিনি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি প্রতিবাদপত্র তুলে দেন। এরপর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি।
তবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিয়ানমারের জনসংখ্যা বিভাগের মানচিত্রে সেন্ট মার্টিনস দ্বীপকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে।
মিয়ানমারের এই কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই দেশটির রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বিষয়টিকে ভুল হিসেবে ইঙ্গিত করলেও এর পেছনে উসকানি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৩৭ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার সময়ও সেন্ট মার্টিনস বাংলাদেশের অংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি ও পরে সমুদ্রসীমাবিষয়ক আন্তর্জাতিক আদালতের রায়েও সেন্ট মার্টিনস বাংলাদেশের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আরবের কিছু নাবিক ২৫০ বছর আগে এটি আবিষ্কার করে। তারা এটিকে ‘জাজিরা’ নামকরণ করে। ব্রিটিশ শাসনের সময়কালে এটিকে পুনরায় ‘সেন্ট মার্টিনস’ দ্বীপ নামে নামকরণ করা হয়। দ্বীপটির স্থানীয় নাম নারিকেল জিনজিরা। বাংলাদেশের একমাত্র এই প্রবাল দ্বীপের আয়তন আট বর্গকিলোমিটার।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply