
ছাব্বিশে মার্চ- মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁকে সেই সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। পঁচিশের কালরাতে তাঁকে গ্রেফতার করেই শুরু হয় পাকিস্তানের ধ্বংসলীলা।
মুজিবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিকামী জনগন শুধু একটি মাত্র ইশারার অপেক্ষায় ছিলো, প্রাণপ্রিয় নেতার। মুজিব হয়ে উঠেছিলেন যেন হ্যামিলনের বাশিওয়ালা। কী এক আশ্চর্য সুরে বিমোহিত করে এক সূতোয় গেঁথে রাখতে পেরেছিলেন পুরো বাঙ্গালী সত্ত্বাকে।
অতঃপর তাঁর মুক্তির ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র ছাড়া এক যুদ্ধে নামলো পুরো বাঙ্গালী জাতি। তবু নিরস্ত্র নয়। তাঁদের সঙ্গে ছিলো তীব্র মনোবল, একতা। যেটা হয়েছিলো পুরোটা যুদ্ধের সময় দুর্ভেদ্য এক ঢাল। এসব সেই কত্ত বছর আগের কথা। তবু ভাবলে এখনো গায়ে কাঁটা দেয়।
আজ দিন বদলেছে। তবে দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে তৈরী হয়েছে বিশেষ এক রকমের প্রজাতি, যারা স্বাধীনতা নিয়ে যখন-তখন প্রশ্ন তুলতে ভালবাসে। হোক শহীদ দিবস, হোক বিজয় দিবস, কিংবা স্বাধীনতা দিবস, এদের মনে একটাই প্রশ্ন- আসলেই কী আমরা স্বাধীন?
যাদের শহীদ মিনারে ফুল দিলে সমস্যা, বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বললে আপনি ধর্ম মানেন না।প্রথমে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিৎ তিনি এদের দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পাঠান নাই। এরা যদি তখন থাকতো, রাজাকারের সংখ্যা গুণোত্তর ধারায় বেড়ে চলতো।
এরা পরাধীনতা দেখে নাই। যুদ্ধ দেখে নাই। ইরাক, সিরিয়া, আফগানে যুদ্ধ দেখে এরা চোখ ভাসায় ফেলে। শেয়ার মারে ছবি গুলো। পরাধীনতা ওইটাকে বলে।
এখন যে ইরাক, সিরিয়া আছে না? ফেসবুকে দুই দিন পর পরই সেইখানের ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয়। আমাদের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের ভাগ্য ভাল, যে ফেসবুক ছিল না। নয় মাসে ত্রিশ লাখ। ত্রিশ লাখ মানে জানেন? তিনের পর ছয়টা শুন্য। দুনিয়ায় বহু যুদ্ধ হয়ে গেছে। নয় মাসে ত্রিশ লাখ কোনোটাতে মরে নাই। আর এই প্রজন্ম সেদিন জন্ম নিয়ে আজকে প্রশ্ন করে দেশ স্বাধীন কি না।
অবশ্য এদের দোষ কী। স্বাধীনতার পর পরই যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে মারা হলো, দুনিয়া তো সেদিনই দেখেছে- বাঙ্গালী কত বড় নিমকহারাম জাতি।
যাক, এসব হতাশার কথা আজ থাক। বাঙ্গালী একদিন নিশ্চয়ই বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াবে সগৌরবে, সমহিমায়। সেই দিন নিশ্চয়ই খুব বেশি দূরে নয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply