
বিরোধী দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গ্রেফতারে কোণঠাসা বিএনপি তাদের সর্বশেষ কর্মসূচি পালন করলো অনশন। তিন দিনের টানা কর্মসূচির ইতি টানা হল অনশনের মাধ্যমে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে গত বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পালিত হয় ছয় ঘণ্টা ব্যাপী এই অনশন। বিএনপির পক্ষ দেখে জানানো হয়েছে, তাদের পরিকল্পনা ছিল বিকেল চারটা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবার। কর্তৃপক্ষের অনুরোধে নির্ধারিত সময়ের আগেই ছয়ঘন্টার মাথায় এর ইতি টানতে হয়। বেলা একটায় বিএনপি নেতাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ।
এই অনশন কর্মসূচি শেষ হবার পরপরই পুলিশ বিএনপির মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। এ সময়ে গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশকে আশেপাশের এলাকায় তৎপরতা চালাতে দেখা যায়।
অনশনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিএনপির টানা তিনদিনের কর্মসূচি। এখন আপাতত অন্য কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও, কিছু দিনের বিরতি দিয়েই আবার কর্মসূচি ঘোষনা করবে বিএনপি। এর মধ্যে ভাবা হচ্ছে সমাবেশের কথা। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।
অনশনে অংশ নেয়া বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, এই কর্মসূচির জন্য ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউশন অথবা পার্টি অফিস চাওয়া হয়েছিলো। দেয়া হয় নি।
তার উপর পুলিশের পীড়াপীড়িতে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা আগেই শেষ করে ফেলতে হয় কর্মসূচি। তারা বলেন, ‘দেশে আজ গনতন্ত্র নেই। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই।’
এর আগে, সকাল দশটায় অনশনে বসেন বিএনপির কেন্দ্রীয়, ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা। তাদের সাথে যুক্ত হন শরীক দলগুলোও। তারা খালেদার মুক্তির দাবীতে জোরালো দাবী জানাতে থাকেন। নেতা-কর্মীর ভিড় বাড়তে থাকে ক্রমশ। একসময় রাস্তা সরু হয়ে গিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম হয়। পুলিশ অনশন স্থল ঘিরে রাখে, নিয়ন্ত্রন ধরে রাখার জন্যে। অনেক নেতাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয় নি বেষ্টনীর। সময়ের সাথে সাথে পুলিশ এই বেষ্টনী ছোটো করে আনে।
সবশেষে বলা যায়, তিন দিনের কর্মসূচি তেমন উজ্জ্বল কোনো আশার আলো দেখাচ্ছে না বিএনপিকে। বরং অনশন কর্মসূচির অনেকটাই ভেস্তে গেছে, যা দলের জন্যে হতাশাব্যঞ্জক।
এবার কিছু দিনের বিরতি। দেখা যাক, বিরতির পর বিএনপির কর্মসূচি নতুন কী মাত্রা যোগ করে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply