
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ মাছ বাজারে।
রমজান উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ মে) বাজার পরিদর্শনে বের হন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর। নিউ মার্কেট এলাকা পরিদর্শনের সময় রাজগঞ্জ মাছ বাজারেও ম্যাজিস্ট্রেট আসবে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে ফরমালিন এবং কম ওজনের বাটখারা ব্যবহার করা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান।
ম্যাজিস্ট্রেট আসার কথা শুনে প্রায় অর্ধেক মাছ ব্যবসায়ী পালিয়ে যান।
মাছের বাজার ছাড়াও মুরগির কিছু দোকানও বন্ধ হয়ে যায়। মাংসের ব্যবসায়ীদের দোকান পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যায়। এসময় মুদি দোকানিদেরও তটস্থ দেখা যায়।
এদিকে, রমজানের প্রথমদিন শুক্রবার নগরীর সড়কের দুই পাশে ইফতার বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় নগরীর বাংলা রেস্তোরাঁ ও ফুড ভিলেজের ইফতার সামগ্রীর বাজারসহ ফুটপাতে থাকা ইফতার দোকানে অভিযান চালানো হয়। এসময় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে বাংলা রেস্তোরাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাজনীন আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, কিছু ব্যবসায়ী দোকান অপরিচ্ছন্ন রাখে। জিনিসপত্রে ভেজাল মেশায় এবং ওজনে কম দেয়। এছাড়া গলাকাটা দাম রাখে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতি সপ্তাহে জেলা প্রশাসনের বাজার পরিদর্শন করা উচিত।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পণ্যের দর স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। যাতে মানুষ দুর্ভোগে পড়তে না হয়।’
অভিযান নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি আফিফা খাতুন জানান, তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা ইফতার সামগ্রী নিয়ে রাস্তার পাশে বাজার সৃষ্টি করেছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সারাদিন না খেয়ে থাকার পর পেটে যা পড়ছে তা কতটা পুষ্টিযুক্ত, এবং স্বাস্থ্যসম্মত সে খবর আমরা কেউই রাখি না। দৈনন্দিন জীবনে এত কাজের চাপে সেসবে খেয়াল রাখার সময় কোথায়? তবে নৈতিকতার জায়গায় থেকে বিক্রেতাদের এ অবস্থান থেকে একটু হলেও সরে আসা উচিৎ। ফরমালিন মেশানো ফল কিংবা মাছ খেয়ে প্রথমে অসুস্থ, একসময় ধীরে ধীরে মরে যাওয়া মানুষের মৃত্যুর দায়ভার কী তাঁরা এড়াতে পারেন?
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply