
চট্টগ্রামের সাতকাািনয়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষাপেল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। সেই সাথে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে মো. নোমান নামের এক কাজীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাল্যবিয়ে খবর পেয়ে(১৮ মার্চ) সোমবার উপজেলার এওচিয়া আলী নগর গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
ইউএনও বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি সোনাকানিয়ার ছোট হাতিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে এওচিয়া আলী নগরে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছে। খবর পেয়ে সোমবার সকাল ১১টায় দ্রুত কনের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে মেয়ের মা বাবা ও ছেলের
গার্ডিয়ানকে ঢেকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝানো হয়। পরে বিয়ের খাবারের আয়োজন করা দেওদীঘির একটি কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দু’পক্ষের লোকজনকেও জানানো হয় মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাল্যবিয়ে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ সময় বাল্যবিয়ে ভেঙে দেয়া হয় ও মেয়ের মা বাবা ওই কিশোরী প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ সময় আটক করা হয় স্থানীয় কাজী মো. নোমানকে। পরে দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ‘বাল্য বিবাহ’ নিরোধ আইন-২০১৭-এর ৯ ও ১১ ধারা মোতাবেক কাজিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply