
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রম থেকে শুরু হয়ে রথযাত্রার শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন সহ ধর্মীয় বাণী সম্বলিত পোস্টার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন হাজারও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
শোভাযাত্রাটি শেষ হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে। শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে উদযাপিত হলো শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের এই বর্ণাঢ্য রথযাত্রা।
রথযাত্রা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকন আয়োজন করেছে নয় দিনের অনুষ্ঠানমালা। আয়োজনের প্রথম দিনে রথযাত্রায় অংশ নেন পুণ্যার্থীরা।
ইসকন মায়াপুর ইনস্টিটিউটের পরিচালক শুভ নিতাই গৌর দাস বলেন, ‘যে সব ব্যক্তিরা মন্দিরে নিয়মিত যান না, তাঁরা যেন জগন্নাথকে দর্শন করতে পারেন। জগন্নাথ দর্শনের মাধ্যমে তাঁদের পবিত্র করে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নিতে চান। তো এই জন্য সমস্ত ভক্তরা কী করেন, এই রথযাত্রা মহোৎসবে জগন্নাথকে বাইরে নিয়ে এসে সাধারণ মানুষকে দেখার সুযোগ করে দেন। যেন তাঁরা জগন্নাথকে দর্শন করে পাপমুক্ত হয়। জগতে শান্তি কল্যাণ বর্ষিত হয় এই লক্ষ্যে।’
পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে, আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, এদিন বড় ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তিনটি রথে চড়ে তাদের মাসির বাড়ি বৃন্দাবন গিয়েছিলেন। সেই দিনটিকে স্মরণ করেই পুণ্যার্থীরা প্রতি বছর রথযাত্রার আয়োজন করে থাকে।
বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার দেশ। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এ কথাই বার বার প্রমাণ করে।
তবে সম্প্রতি কিছু উগ্রবাদী সংগঠন এবং তার মতাদর্শের মানুষ আমাদের দেশের এই নিরপেক্ষতাকে সরিয়ে দিতে চাইছে। যেটি মোটেও কাম্য নয়।
আমরা সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ এক সঙ্গে মিলেমিশে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বাস করবো, এই প্রত্যয় ধারণ করবো বুকে। তবেই কোনো অশুভ শক্তি এই দেশকে আঘাত করতে পারবে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply