
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের শাহজাদপুর, কড়াইল বস্তি ও মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকাল করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গনসংযোগ কালে এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘৩০০ আসনে নির্বাচন করব। যদি জয়ী হই কথা দিলাম আপনাদের আবার শান্তি ফিরে আসবে।’
এ সময় বক্তৃতা করেন দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, আমির হোসেন ভূঁইয়া।
এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘আমি যা করেছিলাম তারচেয়ে ভালো কাজ কেউ করতে পারি নাই। আগামীতেও ইনশা আল্লাহ কাজ করে দেখাব যে আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি।’
এরশাদ বলেন, ‘খুন-গুম আর রক্তে দেশ আজ ভালো নেই। শান্তির বাংলাদেশ এভাবে চলতে পারে না। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, মানুষ বাঁচতে চায়। আমরা মানুষকে বাঁচাতে পথে নেমেছি। আমরা দেশের মানুষকে শান্তি দেব-মুক্তি দেব। প্রমাণ হয়েছে শুধু জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ এ দেশে সুশাসন দিতে পারে না। আমাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব।’
বেলা ১১টায় বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক থেকে বহর নিয়ে বের হয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদ গুলশানের শাহজাদপুর ঝিলপাড়ে এক জনসভায় বক্তৃতা করেন। এরপর কড়াইল বস্তি সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প মাঠে এবং মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
এ সময় এরশাদ আরো বলেন, ‘আমি যখন ক্ষমতা ছেড়েছি তখন চালের দাম ১০ টাকা ছিল, নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল।’ তিনি বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণায় যারা উল্লসিত, তারা গ্রামের খবর জানে না। মানুষের কষ্টের খোঁজ রাখে না। সবাই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত, মানুষের কষ্টের খোঁজ রাখার সময় নেই কারো।’ তিনি বলেন, ‘খবরের কাগজ খুললেই শুধু মানুষ খুন আর রক্তের খবর, ইচ্ছে করলেই এই খুন বন্ধ করা যায়।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘ঢাকা-১৭ আসনের এমপি থাকাকালে এই এলাকায় পানির কষ্ট দূর করতে ১৪টি পানির পাম্প বসিয়েছিলাম। আমরা রাস্তাঘাট করেছি, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আবারও সুযোগ দিন, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে এখনো বেঁচে আছি। মানুষের দোয়ায় আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘লাঙ্গলে ভোট দিবেন, আমরা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেব। আমাদের চেয়ে কেউ বেশি উন্নয়ন করতে পারেনি, কেউ পারবেও না।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে জাপা। নির্বাচন নিয়ে নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে দলটি। এটিই স্বাভাবিক গনতন্ত্র চর্চা। নির্বাচনের মাধ্যমেই নতুন নেতা নিবাচিত হবেন, এমনিই আশা জনগনের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply