
বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও বৈকল্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শান্তা তাওহীদা বলেন, শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষরণ আমাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার এখন সময়ের দাবি। ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ অযৌক্তিক। দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে মেধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাই। এই রণাঙ্গন আমার ক্যাম্পাস হতে পারে না।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
সোমবার (৯ এপ্রিল) তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছেন।অন্যদিকে সোমবার সকালে কার্জন হল এলাকায় পুলিশ যখন টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছিল তখন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম পুলিশকে মারধর করতে নিষেধ করেন। বলেন, ‘আমার সামনে আমার ছেলেদের ওপর টিয়ারশেল ছুড়লেন- একি করলেন?’
এ বিষয়ে অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বললে তারা যায়নি। পরে তারা তাদের ধাওয়া এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে আমি তাদের নিষেধ করি। কিন্তু পুলিশ জানায় তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তা করেছে।
ঢাবি শিক্ষক আইনুল ইসলামের এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বন্দনা শুরু হয়েছে। শিক্ষর্থীরা তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষক খালিদ হাসান তার ফেসবুক টাইমলাইনেব লিখেছেন, ‘আমার প্রশ্ন একটাই, আমাদের ছেলেদের গায়ে পুলিশ হাত তুললো কেন?
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply