
রেল দুর্ঘটনায় ৫টি প্রাপ্তবয়স্ক হাতি এবং একটি হাতি শাবক মারা গেছে। গতকাল রাতে ভারতের আসামে এ দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে।
রেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাত ১টার দিকে হাতিগুলো রেললাইন পার হচ্ছিল। সেই সময় ওখানে চলে আসে গোয়াহাটি-নাহারলেগুন এক্সপ্রেস। বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটে এতগুলো হাতির সঙ্গে।
আসামের সোনিতপুর জেলার বালিপারায় ঘটে দুর্ঘটনা। এই স্থানটি ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ নামের পরিচিতি। খবর ছড়ানোর পর স্থানীয়রা হাতিদের মৃতদেহের চারদিকে ভিড় করেন। আসলে বনের প্রাণী এবং মানুষের মধ্যে এমন সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি আসামে বন্যজীবন এবং তার প্রাণীদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এমনিতেই সেখানে বন উজাড় করে অনেকগুলো গ্রাম গড়ে তোলা হয়েছে। এই বসতির কারণে এখানকার বিশেষকরে হাতিরা তাদের প্রাকৃতিক বসতি খুইয়েছে।
২০১৪ সাল পর্যন্ত তারা শান্তিতেই বসবাস করছিল।
এক পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে আসামে ১৪০টি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
সোনিতপুরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের এক কর্মকর্তা জানান, এখানকার বনাঞ্চলের ৭০ শতাংশ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। অনেক বুনো হাতিই গ্রামে চলে আসে। এগুলো আসলে তাদেরই জায়গা ছিল।
ট্রেনের ধাক্কায় এতগুলো হাতির মৃত্যুতে সবার মন শোকে ছেয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা বন উজাড় করে বসতি ভাগাভাগি করলেও হাতিদের প্রতি তাদের ভালোবাসা রয়েছে।
আসামের এই এশিয়ান হাতিগুলোর অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার কবা আইইউসিএন। ২০১১ সালেও এখানে ৫৬২০টি হাতি ছিল বলে এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়
সূত্র : এনডিটিভি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ / ক.আ।
Leave a Reply