
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত থাকা একজন বলেন, কুয়েত প্রবাসী সলেমান শেখের স্ত্রী সালেহা বেগম গ্রামের লোকজনদের নিয়ে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। ইফতারে ছোলা, মুড়ি, পেয়াজু, চপ, বেগুনি, খুরমা, আপেল ও শরবত খাওয়ানো হয়।
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার ঘাসিপুকুরপারে এই ইফতার খেয়ে কমপক্ষে ২০ জন অসুস্থ হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অসুস্থ নুশরাত (৫), জুবায়ের হোসেন (৬), তাসকিম (৪), আলিফ হোসেন আড়াই, আঁখি আক্তার (৬) নামে পাঁচ শিশুকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া রাশেদুল ইসলাম, কাইয়ুম, রাব্বি দেওয়ান, বেলায়েত হোসেন, হাবিব (১২), রেনু বেগম, ঝুনু বেগম, খুশিমন বেগম, তানহা, আসমাসহ অন্যদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ড. আফজালুল বাশার, এখানে সন্ধ্যার কিছু সময় পর থেকেই রোগী আসছে। মনে হচ্ছে খাবারে বিষাক্ত কিছু ছিল অথবা ভাজা যে খাবারগুলো ছিল সেগুলো অনেক আগের তৈরি। তাই এই খাবার থেকে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। এই হাসপাতালে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা না থাকায় আমরা অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করছি। এই পর্যন্ত ২০ জন রোগী এসেছে। আমরা আমাদের সাধ্য মতো চিকিৎসা দিচ্ছি।
সারাদিন খালি পেটে, অভুক্ত থাকার পর এইসব ভাজাপোড়া শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। বরং এর বিভিন্ন অপকারিতা জেনেও দেদারসে এসব তেলে ভাজা খেয়ে যাচ্ছি প্রতিদিনকার ইফতারে।
নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমাদের আরো একটু সচেতন হওয়া উচিৎ। এইসব মানহীন খাবার খেয়ে যেন আর কোনো শিশুকে হাসপাতালে যেতে নাহয়, তার দায়িত্ব বড়দের উপরই বর্তায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply