
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি সম্প্রতি পরিদর্শন করেছেন প্রথম আলোর কার্যালয়। সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাসবোধ খুব প্রখর। পূর্বপুরুষের স্বপ্নপূরণের একটা আলাদা তাগিদ আছে এ দেশের মানুষের। আর সেটাই মানব উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতির অন্যতম প্রধান নিয়ামক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলো কার্যালয় পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময় প্রথমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা আর এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে কাজ করতে হচ্ছে মার্শা বার্নিকাটকে। হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার পালাবদল কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারত–মহাসাগরীয় কৌশলে (ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি) বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এই কৌশলে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ওপর নতুন প্রশাসনের বেশ আগ্রহ রয়েছে।
জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। মার্শা বার্নিকাট বলেন, ইতিহাসের ছাত্রী বলে নয়, বাংলাদেশে কাজ করতে এসে বুঝেছি, এ দেশের লোকজনের ইতিহাসবোধ খুব প্রখর। উন্নতির জন্য শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াসের প্রশংসা করতে হয়। তাঁর এ কৃতিত্ব শুধু নিজের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেওয়াতেই সীমিত নয়। তিনি তাঁর বাবার স্বপ্নকে পূর্ণতা দিচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
বাংলাদেশের অব্যাহত এগিয়ে চলার নিয়ামক হিসেবে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন হাত ধরাধরি করে চলে। তাই একে অন্যের ওপর নির্ভরশীলও বটে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply