
২৪ শে মার্চ, উননিশশো একাত্তর। স্বাধীনতার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে মুক্তি পাগল জনতা।
স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হাতে স্লোগানে স্লোগানে রাজধানী প্রকম্পিত করে তোলে জনতা। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় আজকের এইদিনে।
স্বাধীন বাংলার পতাকা হাতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে হাজির হয় মুক্তিপাগল হাজারো জনতা। সন্ধ্যা পর্যন্ত জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগানে মুখর থাকে পুরো এলাকা। সেদিন পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবস হলেও ঢাকার প্রেসিডেন্ট ভবন ও সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ছাড়া বাংলাদেশে আর কোথাও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা ওড়েনি।
এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ বাসভবনে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে চাই। প্রয়োজনে রক্ত দিতে প্রস্তুত। সাড়ে সাত কোটির একটি আত্মা জীবিত থাকতেও দাবী আদায়ের সংগ্রাম চলবে।
এদিন, ঢাকা পতাকার নগরীতে পরিনত হয়। যানবাহান, দোকানপাট, সরকারী, আধা সরকারী, বেসরকরী ভবনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে পশ্চিম পাকিস্তানের ছয়জন পার্লামেন্টারি নেতা এদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেন। ইয়াহিয়া খান এদিন প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে যান। বৈঠক করেন লে. জেনারেল পীরজাদার সাথে।
সৈয়দপুরে সেদিন সেনাবাহিনী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। সন্ধ্যায় শহরে কারফিউ জারি করা হয়। আর সেনানিবাসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply