
এই বছরের শেষে একাদশ সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে হওয়ার পর এবার চিত্র বদলাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক’ হবে ধরে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে দলের সংসদ সদস্যদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সংসদ সদস্য এই তথ্য জানিয়েছেন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এবার তারা নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ সঙ্গে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তও দিয়েছে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা ‘সহায়ক সরকারের’ দাবিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি খালেদার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার বলে বিএনপিকে বলে আসছেন।
সেই সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা বিএনপি না এলে তাদের বাদ রেখেই নির্বাচন করে ফেলার কথা বলছেন, যা বিএনপিকে ভোট থেকে বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে নির্বাচনের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, এক তরুণ সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “নেত্রী বলেছেন, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। এজন্য, আমাদের এলাকায় গিয়ে কাজ করতে বলেছেন।”
“প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন,” বলেছেন আরেক সংসদ সদস্য।
জাতীয় সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার বিকালে সরকারদলীয় সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়।
২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ করা হয়। তবে ওই সময় মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।
সংবিধান অনুযায়ী ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংসদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে আঁটসাঁট করেই মাঠে নামছে আওয়ামীলীগ। নেতা কর্মীদের সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। এবার দেখার বিষয় বিএনপি নির্বাচনে আসার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply