
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে চেতনা বাংলাদেশ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মওদুদ বলেন, ‘বিএনপি উপযুক্ত কর্মসূচি দেবে। যে কর্মসূচির মাধ্যমে এই সরকারের পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। পরিস্থিতি বলে দেবে, কী ধরনের কর্মসূচি দিতে হবে। আগামী এক মাসের অনেক পরিবর্তন দেখতে পারবেন।’
‘আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কিছু বলতে পারবেন না। এক মিনিটের ব্যবধানে সংলাপে বসতে বাধ্য হবেন। বাধ্য হবেন বিএনপির দাবি মেনে নিতে। জোর করে যদি ভাবেন ক্ষমতায় থাকবেন, এবার এটা সম্ভব হবে না।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য বাংলাদেশে ন্যূনতম পরিবেশ এখন নাই দাবি করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভয়েস অব আমেরিকার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন- বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ আছে। কথাটা সত্য নয়। কারণ বাংলাদেশে কোনো সাধারণ নির্বাচন করার ন্যূনতম পরিবেশ এখন নাই। বরং বলবো, এই পরিবেশকে সুপরিকল্পিতভাবে নষ্ট করতে ক্ষমতাসীনরা একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যার কারণে বিএনপির সক্রিয় কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
ভোটের জন্য ন্যুনতম পরিবেশ থাকা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকার এটা চায় না। কেনো চায় না? কারণ তাদের উদ্দেশ্য খুব খারাপ। তারা আগের মত আরেকটা নির্বাচন করতে চায়। একদলীয়ভাবে একটা নির্বাচন করতে চায়। বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে এটা আর কোনো দিন হতে দেয়া হবে না-বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের অপসারণ ঘটানো হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘সারা জাতি আজকে ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্য নষ্ট করতে সরকার অনেক ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী ও জোরদার হবে। সারা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবে। কারণ একটা স্বৈরাচার সরকারকে সরাতে হলে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই।’
মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য ইভিএম ক্ষমতাসীনদের নতুন একটি ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেনন মওদুদ আহমদ।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার বলতে সংবিধানে কিছুই নাই। তার মানে, সরকার সংবিধান থেকে সরে আসতে চাচ্ছে। সরে এসে একটা নির্বাচনকালীন সরকার করবেন। এটা একই সরকার হবে মানুষকে বিভ্রান্ত করবার জন্য। প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। প্রশাসন, পুলিশ ও র্যাব তাদের অধীনে থাকবে। আর তাদের অধীনেই নির্বাচন হবে। তবে নাম দেয়া হবে নির্বাচনকালীন সরকার। মুখে বলবে আমরা রুটিন অনুযায়ী কাজ করবো। কিন্তু সংবিধান তো বলে না যে, তারা রুটিন অনুযায়ী কাজ করবে এবং তারা কোনো পলিসি মেকিংয়ের সিদ্ধান্ত দেবে না। কিংবা প্রশাসন ও পুলিশ তাদের অধীনে থাকবে না।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply