
বিএনপি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘জাতীয় ঐক্যের’ দিকে ছুটছে। এই ঐক্য প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে ড. কামাল, বি চৌধুরী এঁদেরকে নিয়ে সভা সমাবেশ করছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে শরিকরা উপস্থিত ছিলেন। শরীকদের উদ্দেশে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে প্রয়োজনে সব ধরনের ছাড় দেবে জামায়াত। এজন্য দরকার হলে তাদের বাদ দিয়েই ঐক্যপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
এদিকে এ বৈঠকের শুরুতে জামায়াত ও বিজেপি বাদে শরিক অপর দলগুলোর প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয় বিএনপি। বৈঠক থেকে বের হওয়ার পর জোটের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।
এ বৈঠকের শুরুতেই ২০ দলীয় জোটের শরিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন বিএনপি নেতারা। শরিকদলগুলোর নেতারা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপির যোগ দেওয়াসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। এসময় জোটের নেতাদের সঙ্গে আলাপ না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগও ওঠে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে। এর জবাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত জোটনেতাদের অবহিত করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপি নেতারা।
জোটের বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা জানান, জামায়াতের মাওলানা আবদুল হালিম ও বিজেপির প্রধান আন্দালিভ রহমান পার্থ ছাড়া বাকি প্রায় সব নেতা বৈঠকে বিএনপি নেতাদের নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এরমধ্যে জোটকে অবহিত না করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপি যোগ দিচ্ছে কিনা সে প্রশ্নটি গুরুত্ব পায়।
বৈঠকে জোট নেতা সাইফুদ্দিন মনি অভিযোগের সুরে বলেন, ২০ দলীয় জোটকে পাশ কাটিয়ে নতুন ঐক্যের পথে যাচ্ছে বিএনপি। বরাবরই জোটকে বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
বৈঠকের পর শরিক একটি দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, অতীতে দেখা গেছে বিএনপি ঐক্য করার পর শরিকদের ভুলে গেছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন জোটকে অন্ধকারে না রাখতে। বিএনপি আমাদের আজকে ডেকে জানিয়েছে, অন্ধকারে রাখা হবে না।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপির অংশ নেওয়ার ইস্যুতে কথা তোলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমও। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরসহ সবারই ছিল একই জিজ্ঞাসা।
তবে এসময় জামায়াত নেতা আবদুল হালিম ও বিজেপি নেতা আন্দালিভ রহমান পার্থ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে এখন এসব নিয়ে কথা তোলা হলে আদতে সরকারের লাভ হবে। বিশেষ করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হলে এখন জোটকে আরও সতকর্ভাবে পা ফেলতে হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply