
রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলায় এমপি পুত্র রনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে। দুপুরে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ইমাম এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে কয়েক দফা রায়ের তারিখ পেছানো হয়।
গত বছর ৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণার নির্ধারিত ছিল। কিন্তু প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আল মামুন অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেন বিচারক। আর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন অন্য একটি আদালতের বিচারক। পরে মামলাটি দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়।
আদালত পর পর কয়েকটি ধার্য তারিখে যুক্তিতর্ক শুনানি গ্রহণ করে গত বছর ৪ অক্টোবর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। কিন্তু ওই দিন আবার নতুন করে একজন সাক্ষীকে তলব করেন। ১৭ অক্টোবর সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে রায়ের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
আওয়ামী লীগের নেত্রী ও গত সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি এই মামলার একমাত্র আসামি। তিনি কারাগারে আছেন।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে মদ্যপ অবস্থায় রনি নিজ গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশা চালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম ও ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান। পরবর্তীতে হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে জানা যায়, রনির গাড়ি থেকে করা গুলিতেই ওই ঘটনা ঘটে।
ঐ বছরের ৩১ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক দীপক কুমার দাস।
পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply